বিভিন্ন মামলায় প্রায় ৫ মাস ধরে জেল হাজতে আছেন সাইদুল ইসলাম। তিনি জেলখানায় বসে প্রতিপক্ষের এগ্রো ও পোল্ট্রি ব্যবসায়ীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের, প্রাণনাশ ও গুম করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। ভুক্তভোগী আব্দুল কুদ্দুছ গতকাল শুক্রবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তোলেন । তিনি বড়লেখা পৌরসভার গাজীটেকা আইলাপুর এলাকার মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুছ জানান, অত্র গ্রামের সাইদুল ইসলাম ১/১১ এর সময় পুলিশের সোর্স হিসাবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের পুলিশের কর্মকর্তাদের সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাদের নাম ভাঙিয়ে তদবির বাণিজ্য চালিয়ে টাকার পাহাড় গড়ে তোলে। তাদের ছত্রছায়ায় মাফিয়া ডন বনে যায়। তার নিয়ন্ত্রণে গড়ে তোলে শতাধিক সদস্যের বাহিনী। ১৬/১৭ বছরে সাইদুল শত কোটি টাকার মালিক বনে যায়। সে যাকেই টার্গেট করতো তার কথায় না আসলেই মিথ্যা মামলা, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। গত কয়েক বছরে সে এলাকার অর্ধ শতাধিক নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কৌশলে নামে-বেনামে মামলা করে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে স্বার্থ হাসিল করে। তার বাড়ির পাশে থাকা ভূমি নিয়েই মুলত আমাদের পারিবারিক বিরোধ। এই ভূমি জবরদখলের উদ্দেশ্যে ইতিপূর্বে সে আমার বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা দিয়েছে। গত ২১ এপ্রিল আওয়ামী লীগ সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবৈধ টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে বিভিন্ন ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা করেন। আমিও তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি, যা বিচারাধীন। এসব মামলায় সাইদুল আজও কারাগারে বন্দী। অবৈধ টাকায় ক্রয়কৃত সম্পত্তির মূল্য গোপন করে ব্যাপক করফাঁকি দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তদন্ত করে ব্যাপক করফাঁকির সত্যতা পেয়েছে। কিন্তু গত ২২ সেপ্টেম্বর কারাবন্দী সাইদুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নাকি আমি ১১টি মামলা দিয়েছি, তাকে কারাগারে আটক রাখতে একের পর এক মামলা দিচ্ছি, যা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সাইদুল ইসলাম জেলে বসে তার চাচাতো ভাই নূরুল ইসলামকে দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকদের বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। সাইদুল বাহিনী যে কোনো সময় আমার প্রাণনাশ ও গুম করতে পারে। আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। আমি প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ও নিরাপত্তা বিষয়ক সহ-সম্পাদক আব্দুন নুর তালুকদার। ভুক্তভোগীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রিয়াজ উদ্দিন, রফিক উদ্দিন, সমছ উদ্দিন, আজিজুর রহমান প্রমুখ।