মৌলভীবাজারে আন্তর্জাতিক নদী দিবস উপলক্ষে সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, দেশে পলিথিন বর্জন করতে হলে ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে নদী বাঁচানোর আন্দোলন করতে হবে।মাছ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, জীববৈচিত্র ধ্বংস হচ্ছে, এর একমাত্র কারন বহুজাতিক কোম্পানি। দেশে নদী ভরাট হচ্ছে। শুধু মাত্র পাহাড়ি ঢলেই নদী ভরাট হয়না, নদী থেকে আমরা অনেক উৎপাদনমূখী জিনিসও পাই। তাই নদীর সুফল এবং কুফল দুইদিক বিবেচনা করলে দেখা যাবে মৌলভীবাজার সহ দেশের নদ-নদী ও হাওরের উপর একটা নির্যাতন চলছে,দখল চলছে, সংকোচিত হচ্ছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের মনু নদীর তীরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
“আমাদের নদী আমাদের অস্তিত্ব” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে মনু, কুশিয়ারা,ধলাই, ফানাই সহ জেলার সকল নদ-নদী খনন করে অবিলম্বে দখল ও দূষণ বন্ধের দাবিতে এ পদযাত্রা ও সমাবেশ আয়োজন করে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ এবং ভয়েস অব দ্যা রিভার মনু।
ভয়েস অব দ্যা রিভার মনু’র সভাপতি আ.স.ম সালেহ সোহেল এর সভাপতিত্বে ও দৈনিক সমকাল এর জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক নুরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,উদীচী মৌলভীবাজার জেলা সংসদ এর সভাপতি জহর লাল দত্ত, হাওর রক্ষা আন্দোলন এর সদস্য সচিব খসরু চৌধুরী, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মৌলভীবাজার জেলা শাখার সদস্য সচিব শিব প্রসন্ন ভট্টাচার্য, পরিবেশকর্মী ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী জসিম উদ্দিন, নারী নেত্রী ইফফাত আরা নিপা, সাংবাদিক সমিতি মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আনহার আহমদ সামশাদ, দৈনিক সংবাদ সারাবেলা’র জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ুম, হাওর রক্ষা আন্দোলনের নেতা আলমগীর হোসেন ও সমকাল সুহৃদ সমাবেশ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোনালদো ধর প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, দেশের নদ-নদীতে গত বছরের তুলনায় এ বছর ইলিশ উৎপাদন ৫০ হাজার টন কমে গেছে। এর কারণ নদী দূষণ আর নাব্যতা সংকট। হাওর থেকে পানি আসে নদীতে। হাওরে মাছ উৎপাদন হয়না, জীববৈচিত্র্য রক্ষা হয়না। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এখানে কারেন্ট জাল তৈরি করছে। কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ তাঁর মায়ের পেট থেকে পানিতে আসার সাথে সাথেই কারেন্ট জালে লেগে বিলিন হয়ে যায়। সুতরাং নদীর যদি নাব্যতা না থাকে, স্রোত না থাকে তাহলে নদী ভরাট হয়ে গেলে সেটা মরা নদীতে পরিণত হবে।