বিগত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর কিছুদিন শান্ত থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্স আবারও অস্থির হয়ে উঠছে। আন্তর্জাতিক মহল ও ভারতের ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষাপটে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের কর্মীরা পুনরায় সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. হোসাইন ওরফে ব্যান্ডেজ হোসাইন, কোর্ট বিল্ডিং এডভোকেট আলিফ হত্যা মামলার ইন্ধনদাতা ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসকনের অর্থ যোগানদাতা প্রশান্ত কুমার সরকার এবং পটিয়ার কেলিশহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল উদ্দীনের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট কমপ্লেক্স নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছিল।
এ প্রেক্ষাপটে গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের সামনে থেকে কোতোয়ালী থানা পুলিশ জামাল উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন বিস্ফোরক দ্রব্য এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়। তবে গ্রেপ্তারের পরও কমপ্লেক্স এলাকায় অস্থিরতা কাটেনি। এখনও সরকারি দপ্তরের দেয়ালে জামাল উদ্দীনসহ চিহ্নিত আওয়ামী লীগ নেতাদের ছবি সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন ঝুলে আছে, যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত জামাল উদ্দীন কারাগারে থাকলেও শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়ার সেকেন্ড ইন কমান্ড মো. হোসাইনের নেতৃত্বে ঐ সিন্ডিকেট কমপ্লেক্সে সক্রিয় রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে সদর এ সি টি এ্যাক্ট মোহরার মো. হোসাইন ওরফে ব্যান্ডেজ হোসাইন ইসকন নেতা ও রেকর্ড রুমের নকল নবীশ প্রশান্ত কুমার সরকার, কাট্টলী আওয়ামী লীগ নেতা ও নকল নবীশ আফতাব উদ্দীন চৌধুরী, বড়লিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা রিপন বিশ্বাস, জিরি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা যীশু চৌধুরী, পটিয়া উপজেলা যুবলীগ নেতা রনি মজকুরী, পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মো. কামরুল ইসলাম, পটিয়া উপজেলা যুবলীগ নেতা বাপন সরকার প্রমুখ তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে রাজনৈতিক দলের ব্যানার-ফেস্টুন ঝুলে থাকা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তারা দ্রুত এসব সরানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনার জন্য জেলা রেজিস্ট্রার, আইজিআর অফিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি জানিয়েছে।