উত্তরাঞ্চলের প্রধান বিমান যোগাযোগ কেন্দ্র সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যাত্রী সেবা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে গণশুনানির আয়োজন করেছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকাল ১১টায় বিমানবন্দরের ডিপার্চার লাউঞ্জে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে যাত্রী, অংশীজন, সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত সচিব এস এম লাবলুর রহমান।
তিনি বলেন, “যাত্রী সেবার মান বাড়াতে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। ফ্লাইট ভাড়া নিয়ন্ত্রণে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন প্রক্রিয়াধীন। ইতোমধ্যে বিমানবন্দরের এয়ারফিল্ডের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে এবং যাত্রী সুবিধা নিশ্চিত করতে আরও প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, শিগগিরই সৈয়দপুর থেকে চট্টগ্রাম রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু করা হবে। এতে উত্তরাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন ও শিল্পখাত আরও চাঙ্গা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গণশুনানিতে যাত্রীরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানান। বিদেশফেরত যাত্রী নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আনসার সদস্যরা বকশিশ দাবি করেন, যা যাত্রীদের জন্য বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া ট্রলি সংকট, লাগেজ হারানো, ব্যাগেজ দেরিতে পাওয়া এবং যাত্রী চাপ সামাল দিতে পর্যাপ্ত জনবল সংকটের কথাও উল্লেখ করেন যাত্রীরা। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান অতিথি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বলেন, “যাত্রীদের অভিযোগ শোনা এবং তা সমাধানের মাধ্যমে বিমানবন্দরকে আধুনিক ও যাত্রীবান্ধব করা হবে।”
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক এ কে এম বাহাউদ্দিন জাকারিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শাকিলা পারভীন, বেবিচকের পরিচালক ইফতেখার জাহান হোসেন এবং মানব সম্পদ ও সাধারণ প্রশিক্ষণ বিভাগের উপপরিচালক আবিদুল ইসলাম।
এছাড়া সৈয়দপুর থানার ওসি আব্দুল ওয়াদুদ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের হাব হিসেবে গড়ে তুলতে ইতোমধ্যে রানওয়ে সম্প্রসারণ, নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ এবং যাত্রী সেবা ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।