কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পিতা-পুত্রসহ ৫ জন আহত হয়। আহতরা হলো পিতা কামাল মিয়া (৫৫) ও পুত্র তোফাজ্জল হক (৩০)। গুরুতর আহত পুত্রকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় রোববার থানায় ১০ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেছেন পিতা কামাল মিয়া।
এ ঘটনায় পিতা কামাল মিয়া মঙ্গলবার দুপুরে ভৈরব টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সন্মেলন করে অভিযোগে জানান, প্রতিপক্ষ আমার প্রতিবেশী কয়েকজনের সাথে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছিল।
এ ঘটনার জের ধরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত ৯ টার দিকে আমার প্রতিপক্ষরা পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলে ও আমার ওপর আক্রমন করে। এসময় তাদের লোকজনের সাথে আমার লোকজনের সংঘর্ষ বাঁধে। ছেলেকে মারধোরের সময় আমি ও আমার লোকজন বাঁধা দিলে তারা আমাকেসহ কয়েকজনকে মারধোর করে গুরুতর আহত করে। ঘটনায় বিচার পেতে আমি ফারুক মিয়াকে প্রধান আসামীসহ ১০ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করলেও পুলিশ এখনও কোন আসামীকে গ্রেফতার করেনি।
থানা পুলিশ আমার প্রতিপক্ষের কাউন্টার মামলার অভিযোগ গ্রহন করেছে। কাউন্টার মামলার বাদী তার মামলায় বিদেশ থাকা আমার দুইভাইকে আসামী করে। তারা হলো গোলাপ মিয়া ও বাবুল মিয়া। আমার দুজন ভাই সৌদী আরব প্রবাসী। ঘটনার সময়ও তারা দুজন দেশে ছিলনা। অথচ প্রতিপক্ষরা তাদেরকে মিথ্যা আসামী করে থানায় অভিযোগ দাখিল করে। তাদের মামলাটি এফ আই আর না করতে তিনি ওসিকে অনুরোধ করেছেন।
তিনি সংবাদ সন্মেলনে দাবি করে বলেন, ঘটনার দিন প্রতিপক্ষের আঘাতে আমার ছেলে তোফাজ্জল গুরুতর আহত হয়েছে। কিন্ত মামলা করার তিনদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ আসামীদেরকে গ্রেফতার করছেনা। ঘটনার কঠোর বিচার দাবি করেন তিনি। সংবাদ সন্মেলনে আহতরাসহ স্থানীয় মেম্বার ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফূয়াদ রুহানি জানান, ঘটনায় থানায় কামাল মিয়ার মামলাটি এফআইআর রেকর্ড করা হলেও প্রতিপক্ষের মামলা এখনও এফআইআর করা হয়নি। প্রতিপক্ষের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। তাদের অভিযোগে প্রবাসীর নাম থাকলে আসামী করা হবেনা। কামালের মামলার আসামী গ্রেফতার করতে পুলিশ চেষ্টা করছে। তার মামলাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।