কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় পুলিশের উপর হামলা, বিএনপি অফিস ভাঙচুর ও বিস্ফোরক মামলার এজাহার নামীয় আসামি উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও মাতারবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাইয়ুমকে ছিনিয়ে নিয়েছে তার সহোদর মামুনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সদস্যরা।
গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে উপজেলার মাতারবাড়ী সিএনজি স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর মুহূর্তের মধ্যেই আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এমন ঘটনায় জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি তাৎক্ষণিক জানতে পেরে কক্সবাজার পুলিশ সুপার সাইফুদ্দীন শাহীনের নির্দেশে মহেশখালী থানা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ঘটনার পর রাত ১০ টার দিকে মাতারবাড়ীতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামী চিনতাইয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি আসামীর ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ৩ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। অভিযুক্ত বাকি দুইজন হলেন, মীর মোশাররফ হোসেন পারভেজ ও রোকন।
জানাগেছে, পুলিশের একটি অভিযানিক দল ছাত্রলীগের কাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করতে এস আই হারুনের নেতৃত্বে মাতারবাড়ী নতুন বাজার সিএনজি স্টেশন এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় আসামি কাইয়ুমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর আসামি পক্ষের তার ভাই গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকদল নেতার মব সৃষ্টি করে তার আস্কারায় প্রায় ১০-২০ জন ছাত্রলীগ-যুবলীগ একত্রিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে হাতকড়াসহ আসামি আব্দুল্লাহ কাইয়ুম ছিনিয়ে নেয়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
তবে স্থানীয় ফিরোজ মেম্বারের মাধ্যমে আসামী পক্ষ থেকে হাতকড়া উদ্ধার করে পুলিশকে হস্তান্তর করলেও মুল আসামি কাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। তবে স্থানীয়রা বলছেন কক্সবাজার পুলিশ সুপার সাহসিকতার সাথে পুলিশকে কাজে লাগানোর কারণে হাতকড়াসহ অভিযুক্তদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করা সম্ভাব হয়েছে। ফলে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে। জনমনে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।
মহেশখালী থানার ওসি মনজুরুল হক জানান, পুলিশের ওপর হামলা করে আসামী চিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। কয়েকজন গ্রেপ্তার রয়েছে বলে জানান তিনি। কক্সবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুদ্দীন শাহীন জানান, আসামী চিনতাইয়ের ঘটনাটি দুঃখজনক। তবে ইতিমধ্যে জড়িত কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অপরাধী কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।