জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সীমান্তবর্তী কয়া গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে আরমান আলী পুকুরে মাছ চাষ করছেন। কৃষি কাজের পাশাপাশি মাছ চাষ করে সে এখন সফল একজন আদর্শ মৎস্যচাষী হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।
আরমান প্রথমে ছোট্ট পুকুর দিয়ে মাছ চাষ শুরু করলেও পরবর্তীতে এনজিও থেকে লোন নিয়ে ৮ বিঘার পুকুর তৈরি করেন। পুকুর পাড়ের নিরাপত্তায় আধুনিক মানের জিওশিট এর বস্তা দিয়ে পাড় বেঁধেছেন এবং পুকুরের চারপাশ সিমেন্টের পিলার ও জিআই তার দিয়ে বেড়া দিয়েছেন। সাথে পুকুর পাড়ে সাড়ি সাড়ি ৩'শ সুপারির গাছ সহ বিভিন্ন সবজি চাষ করছে।
অল্প সময়ে অধিক লাভের আশায় আরমান তার পুকুরে পোনা মাছের পরিবর্তে হাঁফ কেজি ১'কেজি ওজনের প্রায় ১'মন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছেড়েছেন। এরমধ্যে তেলাপিয়া ১৮ হাজার, রুই-কাতলা ১০ হাজার ও হাংরি জাতের ২০ হাজার পিচ মাছ ছেড়েছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা।
মৎস্য চাষী আরমানের আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের খবর পেয়ে পুকুর পরিদর্শনে আসেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সজল কুমার দাস।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, মাছ চাষ লাভজনক হওয়ায় আরমানের মত অনেকেই একাজে এগিয়ে আসছে। দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে মৎস্য চাষীদের আমরা নিয়মিত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি লাভজনক মৎস চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।