নড়াইল সদর উপজেলায় আমিনুর বিশ্বাস আলিফ (১৫) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। আমিনুর বিশ্বাস আলিফ (১৫) ইজিভ্যান চালক ছিলেন। এ ঘটনায় জড়িত মিনারুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত ৮টায় আমিনুল বিশ্বাস ওরফে আলিফ তার বাবাকে বাজার করার জন্য টাকা দেন। পরে কোনো এক ব্যক্তির ফোনে পেয়ে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। ওই রাতে আর বাড়িতে ফিরে না আসায় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেন। গতকাল রোববার (৫ অক্টোবর) সকালে ভুক্তভোগীর মা রোজিনা বেগম সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে নড়াইল সদর থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখাসহ (ডিবি) পুলিশের একাধিক টিম নিখোঁজের সন্ধানে মাঠে নামেন। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী নিখোঁজ কিশোর আমিনুলের বাড়িতে যান। পরে সন্দেহভাজন মিনারুল বিশ্বাসকে (২২) আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। অভিযুক্তের দেওয়া তথ্যে একই উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের দেবভোগ নুড়িতলার বিলের কচুরিপানা নিচ থেকে নিহত আমিনুলের অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের বাবা-মা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার পরিচয় শনাক্ত করেন।
নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, নিহত আমিনুর বিশ্বাস এর মা রোজিনা বেগম জিডি করা পরপরই তদন্ত শুরু করা হয়। এক পর্যায়ে মিনারুল নামে একজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় ইজিভ্যানচালক আমিনুরকে হত্যা করে দেবভোগ এলাকায় মরদেহ ফেলেছে। তার দেখানো স্থানে একটি পুকুরে কচুরিপানার মধ্য থেকে আমিনুরের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পরিকল্পিত এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশ্বাস দেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।