উত্তর পূর্ব চর ঈশ্বর রায় হালিমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়ার চর ঈশ্বর রায় ইউনিয়নের হামিদুল্ল্যাহ গ্রামে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক শাহনেওয়াজ বেগম এর বিরুদ্ধে শিক্ষক সংকট সৃষ্টি, নিয়মিত অনুপস্থিতি,জুলাই দিবসের অর্থ বরাদ্দ,ঈদে মিলাদুন্নবীর বরাদ্দ, স্লিপ বরাদ্দ, ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দ, কন্টিনেন্সী বরাদ্দ আত্মসাৎ এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়টি এলাকার শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, ২০১৮ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহনেওয়াজ বেগম বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না। এর ফলে প্রধান শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও শ্রেণি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনের পরিচয় দিয়ে বিদ্যালয়ে দাপট দেখান এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেন। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে দূর্নীতির অভিযোগ উঠছে এসকল তথ্য সঠিক কিনা তা জানার জন্য জাতীয় দৈনিক সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার প্রতিনিধি নোয়াখালী জেলার মো.এনায়েত হোসেন মুঠোফোনে কল দিলে তিনি প্রথমে তার বিদ্যালয় গিয়ে সরজমিনে পরিদর্শন করার জন্য আহবান জানান। গত বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তার সাথে কথা হয়। পরে উত্তর চর ঈশ্বর রায় হালিমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার ঠিকানা সংগ্রহের জন্য মুঠোফোনে কথা বলতে গেলে প্রধান শিক্ষক ১ মিনিট কথা বলে তার ছেলেকে মুঠোফোনে ধরে দেন। তার ছেলে সাংবাদিককে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং হুমকি দেন রাস্তায় ফেলে অপমান করা হবে,মারপিট করা হবে মানুষ দিয়ে। এ সকল কথা গুলো মুঠোফোনে রেকর্ড করা হয়।পরে প্রধান শিক্ষিকা শাহনেওয়াজ বেগমের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে ঐ অভিযোগ বিষয়ে জানার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আ. জব্বারের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমার নিকট এ ধরনের একটা অভিযোগ উত্তর চর ঈশ্বর রায় হালিমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এসেছে। আমরা তদন্ত করে যে তথ্য পাবো তার একটা রিপোর্ট জমা দিবো জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর। তিনি রিপোর্ট দেখে আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এদিকে সাংবাদিকের সাথে যে মুঠোফোনে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করছে, হুমকি দিয়েছে ঐ প্রধান শিক্ষকের ছেলে তার একটা রেকর্ড আমার কাছে পাঠানো হয়েছে। সেটা শুনে খুবই খারাপ লাগছে।
এ ঘটনায় ঐ এলাকায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য দ্রুত তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।