কক্সবাজারের মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের সোনারপাড়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এসপিএম প্রকল্পের বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ মাছ ও কৃষিজমির জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। এসকল বর্জ্য পদার্থ ধান চাষের জমি ও মৎস্য প্রকল্পে এসে পড়ায় বিপুল পরিমাণ মাছের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, পার্শ্ববর্তী এসপিএম প্রকল্পের বর্জ্য পানিতে মিশে এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এতে কয়েক হাজার টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন।
জানাগেছে, এসপিএম প্রকল্পের দূষিত বর্জ্যের পানিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে স্থানীয় কৃষক ও চিংড়ি চাষিরা বিপাকে পড়েছে। প্রকল্পের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি পানি চলাচলের ছরাতে প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে দূষিত তরল বর্জ্য। ওই ছরার পানি সরাসরি মিশে যাচ্ছে চিংড়ির ঘের ও কৃষিজমিতে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্জ্যের সঙ্গে থাকা বিষাক্ত কেমিকেল ধীরে ধীরে ধানক্ষেত নষ্ট করে দিচ্ছে এবং চিংড়ি প্রজেক্টের মাছও মরে যাচ্ছে। এতে করে কৃষক ও চাষিরা আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও স্থানীয়রা জানান, বহুবার মৌখিকভাবে প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। বরং অভিযোগ করলেও এড়িয়ে যাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতা আবু বক্কর ছিদ্দিক এ বিষয় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি এসপিএম প্রকল্পের দুষিত বর্জ্যে কৃষিতে না গিয়ে পড়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আহবান জানান।
স্থানীয়রা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বলছেন, অবিলম্বে বর্জ্য নিঃসরণ বন্ধ না হলে কৃষি ও মৎস্য সম্পদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে।
মহেশখালী উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, এ বিষয়ে আমাদের কেউ অবগত করেনি তবে দুষিত বর্জ্যের কারণে কৃষির ক্ষতি হলে সেটা খতিয়ে দেখা হবে। তবে এ বিষয়ে জানতে পেরে আমরা নিজেরা হতাশ হয়েছি।