প্রথমে দেখলে মনে হবে বিয়ে বাড়ি। না হয় কোন অনুষ্ঠানে জন্য সড়কের পাশে লম্বা লাইন করে টানানো হয়েছে সায়মানা। কিন্তু এটি কোন বিয়ে বাড়ি নয় বরং ময়লার ভাগাড় ঢাকতেই ব্যবহার করা হয়েছে সায়মানা ও অপরদিকে ছিটানো হয়েছে ব্লিচিং পাউডার। উপলক্ষ্য ছিল সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে এর চলমান কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য সরাইল এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। যেতে হবে রেলওয়ে স্টেশনের এই সড়ক দিয়ে। ময়লা স্তূপ উপদেষ্টার চোখের আড়াল করতেই ময়লার ভাগাড় ঢেকে রাখা হয়েছে সায়মানা দিয়ে। এই সড়ক দিয়েই সারা বছর নাক চেপে যেতে হয় ভৈরবসহ আশপাশের উপজেলার মানুষদের। এমনটাই বলছিল সড়কের পাশ দিয়ে চলাচল করা পথচারীরা।
তারা বলেন, কোন ভিআইপি আসবেন বলে সকাল থেকে সড়কের পাশের ময়লা পরিষ্কার করা হয়েছে। রাস্তার পাশে টানানো হয়েছে সায়মানা ও ছিটানো হয়েছে ব্লিচিং পাউডার। কিন্তু বছরের পর বছর পার হলেও ময়লা পরিষ্কার করা হয় না। এমনকি দুর্গন্ধ দূর করতেও নেওয়া হয় না কোন ব্যবস্থা।
এ বিষয়ে পথচারী মো. রফিকুল ইসলাম ও জাকির হোসেন বলেন, আমরা অবাক হয়েছি আজ সড়কের পাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। শুনেছি ভৈরব হয়ে কোন ভিভিআইপি যাবেন। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন নাক চেপে যেতে হয়। মাঝে মধ্যে বমি করতে হয় দুর্গন্ধে। এছাড়াও ময়লার স্তূপ থেকেই ডেঙ্গু মশা বেশি হয়। ভৈরবে দিন দিন ডেঙ্গু বেড়েই চলেছে। আমরা চাই নিয়মিত যেন ময়লা পরিষ্কার রাখা হয়। এছাড়াও রেলওয়ে সড়কটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এখানে সড়কের পাশে ময়লা না ফেলে বিকল্প ব্যবস্থা করলে অনেক ভাল হবে।
এ বিষয়ে পৌরসভার কনজারভেশন ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম রোকন বলেন, আমরা নিয়মিতই স্টেশন রোডের পাশে গর্তে ময়লা ফেলি আবার পরিষ্কারও করি। আজ উপদেষ্টা গিয়েছে ভৈরব হয়ে, এজন্য বাড়তি যত্ন নেয়া হয়েছে সড়কে। বিশেষ করে ময়লা ফেলার জন্য ভৈরবে কোন ডাম্পিং ব্যবস্থা নেই। রাস্তাটি রেলওয়ের অধীনে থাকলেও তাদের কোন গুরুত্ব নেয়। আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকেই নিয়মিত ময়লা ফেলছি আবার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখছি।
এদিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের রেল স্টেশন হয়ে আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সরাইল এর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। স্টেশনে উপদেষ্টাকে রিসিভ করেন কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বিপিএম।
উপদেষ্টার সঙ্গে সফর সঙ্গী ছিলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক এবং উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) সাইফুল ইসলাম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপদেষ্টা প্রথমে ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে এর চলমান কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন করবেন। পরে আশুগঞ্জ-সরাইল অংশের সড়ক কার্যক্রম পরিদর্শন করে দুপুর ৩টায় ভৈরব হয়ে সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশ্যে ফিরে যাবেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh