নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় চাঞ্চল্যকর শফিউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রী মমতাজ বেগমের হত্যার রহস্য ৩ দিনের মধ্যে উদঘাটন করেছে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত ফাউজিয়া খাতুন (২০) ও তার কথিত স্বামী মিনারুলকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। ফাউজিয়া খাতুন উপজেলার সরদারপাড়া গ্রামের শহিনুজ্জামান শাহিনের মেয়ে ও নিহতের নাতনি।
স্থানীয় ও পুলিশি সুত্রে জানা যায়, স্বামীর মৃত্যুর পর নিহত মমতাজ খাতুন নিজ গ্রামের মৃত ইউনুস কাজির পুত্র আবু শামা কাজী (৬৫) ও পার্শবর্তী পাঠানপাড়া গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া খাতুনকে (২৭) কেয়ারটেকার হিসেবে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করতেন।
ঘটনার সময় উল্লেখিত দুই জন কেয়ারটেকারা বাড়িতে ছিলেন না। তাদের মধ্যে আবু শামা কাজী রাত আটটার দিকে মসজিদে যান। সুযোগ বুঝে প্রথমে ফাউজিয়া খাতুন তার দাদীর ঘরে একা প্রবেশ করেন। পরে তার স্বামীকে ডেকে নিয়ে দাদীর পরিহিত স্বর্ণালঙ্কার গলার চেইন, হাতের রুলিবালা, আঙ্গুলের আংটি তিনটি, কানের দুল ছিনিয়ে নেয় ও দাদীকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
গহনা বিক্রী করে গতকাল বুধবার রাত ১১ দিকে ঢাকায় পালিয়ে যাবার সময় নাটোর হরিশপুর বাসষ্ট্যান্ড থেকে ফাউজিয়াসহ তার কথিত স্বামী মিনারুলকে আটক করা হয়। জানা যায়, নিহত মমতাজ বেগমের গহনার জন্যই তারা হত্যাকান্ড ঘটায়।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম সারওয়ার হোসেন জানান, আটককৃত ফাউজিয়া খাতুন ও মিনারুলকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।