চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে রুপবান শিমের চাষ কৃষকদের জীবনে এনেছে নতুন সম্ভাবনা। স্বাদে ও গুণে অনন্য এই জাতের শিম বর্তমানে দেশীয় বাজারের পাশাপাশি বিদেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উপজেলার পৌরসভা, মুরাদপুর, বারৈয়ারঢালা, বাড়বকুন্ড ও কুমিরা ইউনিয়নের পাহাড়ের ঢালে, উঁচু ও উর্বর জমিতে প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে রুপবান শিমের আবাদ হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকদের মতে, খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় এই চাষে আগ্রহ দিনদিন বাড়ছে। এপ্রিল মাসে বীজ বপনের তিন মাসের মধ্যেই ফলন শুরু হয় এবং অক্টোবর-নভেম্বরেই বাজারজাত করা যায়।
বাড়বকুন্ডের কৃষক রিপন ও মুরাদপুরের কৃষক নুরুল হুদা জানান, “উঁচু মাটিতে সারাবছরই রুপবান শিম চাষ করা যায়। প্রতি কেজি শিম প্রকারভেদে ৭০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়।”
স্থানীয় কয়েকজন বেপারি বলেন, “দেশ-বিদেশে এই শিমের চাহিদা বেশি হওয়ায়, কৃষকের কাছ থেকে কিনে পাইকারদের কাছে পাঠানো হয় ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. হাবিব উল্লাহ বলেন, “লাভজনক হওয়ায় রুপবান শিম চাষে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে। গত বছর প্রায় ১৫০ মেট্রিক টন রুপবান শিম উৎপাদিত হয়েছে।”
রুপবান শিম এখন শুধু কৃষকের নয়, সীতাকুণ্ডের কৃষি ও অর্থনীতির নতুন সম্ভাবনার প্রতীক হয়ে উঠেছে।