রাজশাহীর তানোরে এক অসহায় বিধবা নারীর জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। প্রভাবশালীরা পেশি শক্তির দাপটে ওই জমি জবরদখল করে রেখেছেন। উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের (ইউপি) রাতৈল ও একতারপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।এই বৃদ্ধা অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন না। অথচ তার প্রায় অর্ধকোটি টাকা মূল্যের সম্পদ (জমি) প্রভাবশালীরা জবর দখলে করে রেখেছে।
ভুক্তভোগী নারীর নাম ছপিয়া বিবি সে রাতৈল গ্রামের মৃত সোহরাব আলীর স্ত্রী। রাতৈল ও একতারপুর মৌজায় রেকর্ড মূল্যে ৪টি দাগে মোট ১৪২ শতক ধানী জমির মালিক ছপিয়া বিবি।
সম্প্রতি রাতৈল গ্রামের সইবুর আলীর পুত্র মোজাম্মেল এবং এহেসানের পুত্র তাহাসেন ও আহসান পেশি শক্তির জোরে এসব জমি জবরদখল করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার জেল নম্বর-১২২ মৌজা রাতৈল, আরএস দাগ নম্বর-৪৮৬, আরএস খতিয়ান নম্বর-৪১৭,হোল্ডিং নম্বর-৪২৪, শ্রেণী ধানী,পরিমাণ ৩৪ শতক এবং একই মৌজায় ১১৩২ নম্বর দাগে ৩০ শতক ও ১০৯৯ নম্বর দাগে ৩৬ শতক। এছাড়াও জেল নম্বর ১১৭, মৌজা একতারপুর, আরএস খতিয়ান নম্বর-৯৮,আরএস দাগ নম্বর ৩৭৯,শ্রেণী ধানী,পরিমাণ ৪২ শতক। মোট জমি ৪ দাগে ১৪২ শতক।
তবে এসব জমির খাজনা ছপিয়া বিবির নামে চলমান রয়েছে, কিন্তু প্রভাবশালীরা জবরদখল করায় তিনি জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না।ফলে এসব ফসলি জমি থাকার পরেও ওই বিধবা নারী মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছপিয়া বিবি সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোজাম্মেল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই জমির দলিল তাদের নামে রয়েছে এবং আদালতে মামলা চলমান আছে। তাহাসেন আলী বলেন, ছপিয়া বিবি তার ফুফু হয়,বিগত ১৯৭৮ সালে সুফিয়া বিবি জমি তাদের কাছে বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন ছপিয়া বিবি যদি কাগজ মূল্যে জমি পায় তারা দিয়ে দিবেন।