ছবি: সংগৃহীত।
রাজশাহী-১(তানোর-গোদাগাড়ী) সংসদীয় আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার সাবেক সামরিক সচিব ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল অব.শরিফ উদ্দিনকে বিএনপির নীতিনির্ধারণী মহল সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন বলে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক প্রচার রয়েছে। এদিকে এমন প্রচারণার পর পরই শরিফ উদ্দিনবিরোধী শিবিরের চোখমুখে হতাশার করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে। আবার কেউ মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
জানা গেছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে পুরোদমে প্রস্তুতি বিএনপিতে। কয়েক দফা বাছাই শেষে এবার চূড়ান্ত প্রার্থীর খোঁজে দলটি। সূত্র জানায়, চলতি অক্টোবর মাসেই ২০০ আসনে দলীয় একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। আর যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর কাছে ইতোমধ্যে প্রার্থীর তালিকা চেয়েছে বিএনপি। সমমনা দলগুলোও তাদের প্রার্থীর তালিকা বিএনপির কাছে হস্তান্তর করেছে। বিএনপির দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা আশা করছেন, যাচাইবাছাই শেষে আগামী মাসেই সব আসনে একক প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারবে বিএনপি। বিএনপি এবার মুল ধারার আদর্শিক ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন প্রার্থীদের প্রাধান্য দেবে। রাজশাহী-১ আসনে মুল ধারার আদর্শিক, পরিচ্ছন্ন ও বিতর্কমুক্ত ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন নেতৃত্ব হিসেবে আলোচনায় এগিয়ে রয়েছেন মেজর জেনারেল অব.শরিফ উদ্দিন।
সম্প্রতি বিবিসি বাংলায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমন ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে তৃণমূলে যার জনপ্রিয়তা রয়েছে। যার দ্বারা এলাকা ও সাধারণ মানুষের উন্নয়ন সম্ভব, যার সাংগঠনিক দক্ষতা রয়েছে,যিনি রাজনৈতিক দুরদর্শিতা সম্পন্ন, যিনি এলাকা ও সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা এবং রাজনীতি করেন, যিনি সর্বদায় তৃণমুলের নেতাকর্মীদের খোঁজখবর রাখেন, আপদবিপদে পাশে দাঁড়ান এমন কর্মী ও জনবান্ধব নেতাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
অন্যদিকে জুলাই বিপ্লবের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে যাদের আবির্ভাব ঘটেছে,
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৫ বছর যারা নানা কৌশলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে নিজের ব্যবসা বাণিজ্য নিরাপদ ও প্রসার ঘটিয়ে মোটাতাজা হয়েছেন, দীর্ঘ ১৫ বছর যারা মাঠে ছিলেন না, কিন্তু জুলাই বিপ্লবের পর খোলস পাল্টিয়ে রাতারাতি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছে ইত্যাদি তারা কোনো অবস্থাতেই মনোনয়ন পাবেন না। বিগত ১৫ বছর যাদের নাম কেউ শোনেনি তারা হঠাৎ করেই আর্বিভুত হয়েছে। এরা যদি সত্যিই বিএনপিকে ভালবাসে বা বিএনপির আদর্শিক নেতা হয়,তাহলে এতোদিন তারা কোথায় ছিলেন ?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির একাধিক জৈষ্ঠ নেতা বলেন, এখানো যারা প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হকের পরিচয়ে পরিচিত হয়,তারা কি বিবেচনায় আশা করেন ব্যারিস্টার পরিবারকে বঞ্চিত করে তাদের মতো কাউকে দলীয় মনোনয়ন দিবেন?
এদিকে অভিজ্ঞ মহলের ভাষ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যেখানে বিএনপি মতাদর্শী একশ্রেণীর ব্যবসায়ী ও নেতাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে, সেখানে বিএনপি করার অপরাধে মেজর জেনারেল অব. শরিফ উদ্দিনকে সময়ের আগেই বাধ্যতামুলকভাবে অবসরে পাঠানো হয়েছে। এই একটি ঘটনায় তো প্রমাণ করে বিএনপির আদর্শিক, ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ নেতা কে ? আবার কারও কারও বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাসিকের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন ও ব্যবসা করার গুঞ্জন রয়েছে। এসব বিবেচনায় মনোনয়ন দৌড়ে অন্যদের থেকে শরিফ উদ্দিন যোজন যোজন দুরুত্বে এগিয়ে রয়েছেন।
জানা গেছে, রাজশাহী-১ আসনের গোদাগাড়ী উপজেলায় ২টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন এবং তানোর উপজেলায় ২টি পৌরসভা ৭টি ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে শরিফ উদ্দিন পথসভা, গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মন জয় করে চলেছেন। একই সঙ্গে বিএনপির (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নির্বাচনী এলাকা জুড়ে লিফলেট বিতরণের মধ্যদিয়ে বিএনপির পক্ষে ব্যাপক জনমত গড়ে তুলেছেন। দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন, অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতৃত্ব প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক পরিবারের সদস্য হিসেবে তার ভাই শরিফ উদ্দিনের মতো পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন কর্মী-জনবান্ধব নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে নির্বাচনী এলাকায় দৃশ্যমান উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্বৃত্তায়ন ও দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতির প্রতিষ্ঠা হবে। রাজনীতিতে অবৈধ টাকা ছড়ানো বন্ধ হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেজর জেনারেল অব. শরিফ উদ্দিন বলেন, বিএনপির রাজনীতি ও জনগণের সঙ্গে তার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তার পরিবারের প্রতি জনগণের সমর্থন ও ভালোবাসায় তিনি মুগ্ধ।তিনি জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে চান। তিনি বলেন,তার লক্ষ্য এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh