নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার ফয়েজ মোড় এলাকার মসজিদ পাড়ায় রাস্তা বন্ধ করে জমির মালিক দেয়াল নির্মাণ করায় প্রতিবেশীর চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এই অবস্থা চললেও জমির মালিক সমস্যা সমাধানে কোন কর্ণপাত করেছেন না বলে ভুক্তভোগীসহ প্রতিবেশীদের অভিযোগ। দুর্ভোগের শিকার ফয়েজ মোড় এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সবুর সরদার গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, বিগত ২০১৪ সালে লোহাগড়া মৌজায় ৮১০ নং দাগে ১২৫২ খতিয়ানে মসজিদপাড়ার মৃত বুদোই বিশ্বাসের মেয়ে বাছিরন নেছার কাছ থেকে আমার ছেলে ইমামুল সরদারের নামে সোয়া ৩ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়। জমি কেনার সময় জমির মালিক বাছিরন নেছা চলাচলের জন্য রাস্তা বাবদ ৩ ফুট জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথা থাকলেও আমাদের বাড়ির সামনের জমির মালিক পার্শ্ববর্তী পারমল্লিকপুর গ্রামের জামাল ভূইয়া চলাচলের রাস্তার জন্য বরাদ্দকৃত ৩ ফুট রাস্তা না দিয়ে উল্টো চলাচলের রাস্তার ওপর দেয়াল নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। এতে করে করে আমার পরিবার পরিজনসহ প্রতিবেশীদের চলাচলের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দুর্ভোগের শিকার পরিবারটির চলাচলের রাস্তার অভাবে বাধ্য হয়ে পানি কাঁদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, চলাচলের রাস্তা না থাকায় ওই এলাকার মানুষজনদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে।
প্রতিবেশী আকতার বিশ্বাস ও তার বড় ভাই আ.শুকুর বিশ্বাস বলেন, চলাচলের জন্য রাস্তা পাওয়া প্রতিটি মানুষের নাগরিক অধিকার। দুর্ভোগের শিকার পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে এই বাড়িতে বসবাস করে আসছে। জমির মালিক রাস্তা না দিয়ে তাদের চলাচলের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। আমরা চাই তাদের চলাচলের রাস্তা দেওয়া হোক।
ভুক্তভোগী সবুর বিশ্বাসের স্ত্রী আসমানী বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে অভিযোগ করে বলেন, বাড়িতে জলাবদ্ধতা থাকায় আমার পরিবারের সদস্যরা ডেঙ্গু জ্বর, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। রাস্তার অভাবে আমরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে বসবাস করছি। সামান্য বৃষ্টিতেই জমে যায় হাটু পানি। রাস্তার অভাবে প্রতিবেশীসহ আত্মীয় স্বজনরা আমাদের বাড়িতে আসতে চায় না। আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট চলাচলের রাস্তা পাওয়ার জন্য দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে জমির মালিক মো. জামাল ভূইয়ার ছেলে মো. ইউসুফ ভূইয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই পরিবারকে উত্তর পাশ দিয়ে চলাচলের জন্য রাস্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমি যখন বাড়ি নির্মাণ করবো, তখন তাদের চাওয়া মতে ওই পরিবারকে স্থায়ীভাবে চলাচলের জন্য রাস্তা দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া পৌর সভার প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিঠুন মৈত্র’র দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।