মো. হাসনাত (২১) এবং আকলিমা আক্তার (২২)। সম্পর্কে দুজন মামাতো ও ফুফাতো ভাই -বোন। দুজনের বাড়িও একই এলাকায়। এর বাইরেও দুজনের মাঝে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। আর সম্পর্কের এক পর্যায়ে আকলিমাকে গোপনে বিয়ে করেন, হাসনাত। কিন্তু গোপনে তারা বিয়ে করলেও, এসময় তাদের কাবিননামা হয়নি।
একপর্যায়ে যানাযানির পর এ বিয়ে নিয়ে শুরু হয় উভয় পরিবারের দন্দ্ব। এরই মাঝে তাদের ঘরে জন্ম নেয় এক সন্তান। উভয় পরিবারের বিরোধ শেষ পর্যন্ত মামলায় গড়ায় আদালতে। মামলায় আদালতের নির্দেশে স্বামী মো. হাসনাতকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত কারাগারে রয়েছেন তিনি।
এদিকে উভয় পরিবারের মাঝে দ্বন্দ্বের মীমাংসা হয়। এর ফলে আদালতের নির্দেশে চাঁদপুর জেলা কারাগারে মো. হাসনাত ও আকলিমার আনুষ্ঠানিক বিয়ে এবং কাবিননামা সম্পন্ন হয়।
চাঁদপুর জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার দ্বাদশ গ্রামের আকতার হোসেনের ছেলে মো. হাসনাত (২১) এবং একই বাড়ির মো. মাসুদের মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী আকলিমা (২২)। উভয় পরিবারের দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে আকলিমার বাবা ২০২৪ সালের ২৪ জুন চাঁদপুর আদালতে মামলা করেন। ২৬ জুন আদালতের নির্দেশে হাসনাতকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।
জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালতের বিচারকের আদেশে রোববার দুপুরে চাঁদপুর জেলা কারাগারে উভয়ের বিয়ে ও কাবিননামা সম্পন্ন হয়। বিয়ে ও কাবিননামায় স্বাক্ষরকালে বর এবং কনেকে বেশ উৎফুল্ল দেখা যায় বলে উপস্থিত স্বজনরা জানান। এদিন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের একজন প্রতিনিধি, সহকারী কমিশনার ও জেলা সমাজসেবা বিভাগের প্রতিনিধির উপস্থিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ সময় বর ও কনের বাবা, নিকটাত্মীয়সহ স্থানীয় মুরুব্বি আবুল বাশার মিজি উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বিয়েতে উপস্থিত বর এবং কনেপক্ষের স্বজনদের কারা কর্তৃপক্ষের সৌজন্যে মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় বলে জানান, চাঁদপুর জেলা কারাগারের জুবাইর। এ বিয়ের পর, বর মো. হাসনাতের দ্রুত জামিন ও মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে মনে করেন, উভয় পরিবার।