চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরুর কিছুক্ষণ পরেই ক্যাম্পাসে ‘বহিরাগতদের উপস্থিতি’ নিয়ে অভিযোগ তুলেছে ইসলামী ছাত্রশিবির ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। তবে অভিযোগে কোনো নির্দিষ্ট সংগঠন বা প্যানেলের নাম উল্লেখ করেনি তারা।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভিপি পদপ্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, “আমরা লক্ষ্য করছি, কিছু মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন তারপরও তারা ক্যাম্পাসে ঘোরাফেরা করছেন। সবার কাছে পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক। অথচ এদের কারো কারো কাছে কোনো ধরণের কার্ড নেই। আমরা চাই, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে যেন কেউ অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে না পারে।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনে প্রার্থী ও ভোটারদের পরিচয়পত্র রয়েছে, পর্যবেক্ষকদের জন্যও আলাদা কার্ড দেওয়া হয়েছে। তারপরও কার্ডবিহীন কয়েকজনকে ঘুরতে দেখা গেছে। আমরা চাই, বহিরাগতদের প্রবেশ রোধ করে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করুক নির্বাচন কমিশন।”
রনি জানান, সকাল ১০টার দিকে তিনি ভোট দেন। নিরাপত্তা বাহিনী চেষ্টা করছে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে। তবে শুরু থেকেই একধরনের শঙ্কা নিয়ে নির্বাচন শুরু হয়েছে। প্রশাসন যদি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে, আমরা যে ফলাফল আসবে সেটি মেনে নেব।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এজিএস পদপ্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক বলেন, “বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ে আমরা আগের দিনই সংবাদ সম্মেলনে সতর্ক করেছিলাম। আমাদের দাবি ছিল, যার বৈধ পাস নেই সে যত প্রভাবশালীই হোক, তাকে যেন প্রবেশ করতে না দেওয়া হয়। এটা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্বাচন, এর দায়ভার প্রশাসনের।”
বুধবার সকালে নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা দেরিতে সকাল সাড়ে ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। পাঁচটি ভবনের ৬০টি কক্ষে স্থাপন করা প্রায় ৭০০টি বুথে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হবে।
এবারের নির্বাচনে ১৩টি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। ছাত্রদল নিজেদের নামে প্যানেল দিয়েছে, আর ইসলামী ছাত্রশিবির অংশ নিচ্ছে ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ ব্যানারে। ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ‘দ্রোহ পর্ষদ’ নামে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, অন্যদিকে বামপন্থী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেলও নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছে। ভিপি পদে ২৪ জন এবং জিএস পদে ২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।