বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল নয়টা থেকে রাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহন শুরু হয়েছে। অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়া ও ছবিসহ তালিকা দেখতে চাওয়াকে কন্দ্র করে ছোটখাটো কিছু অভিযোগ উঠেছিল প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্য থেকে। রাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন উত্তেজনা যেনো তৈরি না হয় সেলক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সকাল থেকেই কঠোর অবস্থানে ছিল। তৎপর ছিল পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে।
নিরাপত্তা প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই হাজার পুলিশ সদস্য, ছয় প্লাটুন বিজিবি ও বারো প্লাটুন র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটগ্রহণের প্রতিটি কেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হবে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের পাশেই করা হয়েছে পুলিশের একটি ক্যাম্প। সকাল ১১ টা ২০ মিনিটে রাবিতে প্রবেশ আরএমপির পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান। তার পরেই দুটো গাড়িতে প্রবেশ করে ‘সিআরটি ’। ক্যাম্পাসের প্রতিটি গেটেই কঠোর অবস্থানে ছিল আইন শৃঙ্খল বাহিনীর সদস্যরা। বেলা ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসের কোন ভোট কেন্দ্রে তেমন কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটার খবর পাওয়া যায়নি। তবে ক্যাম্পাসের বাইরের চারিদিকে বিএনপি-জামায়াতপন্থী নেতা কর্মীদের অবস্থান লক্ষ করা গেছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম জানান, এবারের নির্বাচনে ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি কেন্দ্রে ভোট প্রদান করছেন ভোটাররা। ভোট গ্রহণের দায়িত্বে আছেন মোট ২১২ জন শিক্ষক—এর মধ্যে ১৭ জন প্রিসাইডিং অফিসার, বাকিরা সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ৯১ জন কর্মকর্তা পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।