× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

আলোক ফাঁদে ক্ষতিকর পোকা

মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি

১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম । আপডেটঃ ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার চড়পাড়া ব্লকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আলোক ফাঁদ পেতে ক্ষতিকর পোকা নির্ণয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।

সম্প্রতি চড়পাড়া ব্লকে আলোক ফাঁদ স্থাপন ও এর কার্যকারিতা পরিদর্শন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসের একটি প্রতিনিধিদল। এতে উপস্থিত ছিলেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সবুজ আলী, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সেলিম রানা, সহকারী সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুর রহিম মজুমদার, উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ইউনুছ নুর এবং উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ চাকমাসহ স্থানীয় কৃষকবৃন্দ।

এ সময় কর্মকর্তারা মাঠে আলোক ফাঁদ ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের পোকামাকড় শনাক্ত করেন। তারা জানান, ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম পাওয়া গেছে এবং এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে চড়পাড়া ব্লকে দুটি আলোক ফাঁদ স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। বাইল্যাছড়িতে ও আজমরাই এলাকায় পৃথক ২টি আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কৃষি বিভাগের এই উদ্যোগ চড়পাড়া ব্লকের কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা আশা করছেন, পরিবেশবান্ধব এই প্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত মাটিরাঙ্গার অন্যান্য এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়বে।  চড়পাড়ায় সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে, স্থানীয় কৃষক ও উপজেলা কৃষি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রাতের বেলায় একসঙ্গে আলোক ফাঁদ স্থাপন করেছেন। স্থানীয়রাও অংশ নিচ্ছেন এ কার্যক্রমে। বল, খুঁটি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণের সহায়তায় পোকা নির্ণয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়। 

পর্যবেক্ষনে দেখা গেছে, উপকারি পোকার সংখ্যাই বেশী, ক্ষতিকর পোকা তেমন দেখা যায় নি। চড়পাড়ার কৃষক আব্দুর রব বলেন, আগে পোকা দমনে কীটনাশক ব্যবহার করতাম তাতে খরচ বেশি হতো। এখন আলোক ফাঁদের মাধ্যমে পোকার উপস্থিতি জেনে কীটনাশক ব্যবহার করি খরচও কম হয়। ফলে ফসলের ক্ষতি কমছে পাশাপাশি মাটির গুণগত মান ঠিক থাকছে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ চাকমা বলেন, “আলোক ফাঁদ একটি সহজ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি। এটি পোকা শনাক্তকরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।”

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সেলিম রানা বলেন, “আলোক ফাঁদের মাধ্যমে কৃষকরা সহজেই জানতে পারছেন তাদের জমিতে কোন পোকা আছে এবং তার পরিমাণ কতটুকু। এতে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হচ্ছে এবং অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন কমে যাচ্ছে।” উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সবুজ আলী বলেন, “কৃষকদের রাসায়নিক কীটনাশকের পরিবর্তে জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। চড়পাড়া ব্লকে আলোক ফাঁদ ব্যবহারের পর ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি কমে এসেছে, যা আশাব্যঞ্জক। আমরা বিশ্বাস করি, এই পদ্ধতি কৃষকদের মধ্যে দ্রুত জনপ্রিয় হবে এবং ফসলের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।”

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.