ঢাকা ও নরসিংদীর সাথে সংযোগ স্থাপনকারী কটিয়াদী-মঠখোলা গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির বেহাল অবস্থায় বিপাকে রয়েছে যাত্রীরা। কষ্ট আর দুর্ভোগ যেনো প্রতিবছরের চিত্র। সড়কে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়ে মরণফাঁদ হয়ে ওঠেছে। কিছুক্ষণ পর পর ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন অনেক যানবাহন গর্তে পড়ে যাচ্ছে। নিন্মমানের দায়সারা কাজ এই ভোগান্তির জন্য প্রধান কারণ বলছেন ভুক্তভোগী চালক ও যাত্রীরা।
কিশোরগঞ্জের এই সড়কটির ১২ কিলোমিটার জুঁড়ে বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। এর মধ্যে কটিয়াদী থেকে বেতাল বাজার পর্যন্ত অংশটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও প্রায় ৫ কিলোমিটার স্থানে পুরো সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দ। বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে পানি জমে রাস্তাটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
দ্রুত নতুন করে টেকসই সড়ক তৈরির দাবি জানিয়েছেন এই পথে চলাচল করা যাত্রী ও চালকরা। এদিকে কিশোরগঞ্জের সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন প্রাথমিক মেরামতের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এবারো থেবড়ো হয়ে আছে সড়কের বিভিন্ন অংশ। কয়েকটি স্থানে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। এতে আটকে পড়ে আছে অনেক যানবাহন। গর্তে পড়ে নষ্ট হওয়া গাড়ির বিভিন্ন জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। বিশেষ করে মালামাল পরিবহনের গাড়িগুলো অহরহ উল্টে যাচ্ছে। এতে যানজটের সৃষ্টি হয় কখনো কখনো। হাওর এলাকার মানুষের ঢাকায় যেতে সহজ এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন। একদিকে গাজীপুর জেলা এবং আরেকদিকে নরসিংদী জেলার সাথে সহজেই সংযোগ স্থাপনকারী এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন বিভিন্ন পরিবহনের বাস, ট্রাক সহ হাজারো ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করছে এই সড়কটিতে। রাস্তা খারাপ হলেই সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে জোড়াতালি দিয়ে কোনরকম দায়সারা সংস্কার করে। কিছুদিন পরই পূর্বের অবস্থা হয়ে যায়। বিশেষ করে রোগীদের জন্য এই সড়কটি দুর্বিষহ অবস্থা।
মসূয়া ইউনিয়নের বৈরাগিচর গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাকুর রহমান আরমান বলেন, সমস্যা তো সবসময়ই লেগেই আছে এই সড়কে। সমাধানের জন্য দরকার টেকসই কাজ। সড়কের গুরুত্ব বেড়েছে এজন্য নতুন করে পরিকল্পনা করে তৈরি করা দরকার। সড়ক উঁচু করে আরও প্রশস্ত করাও জরুরি। সরকার টাকা খরচ করে কিন্তু তদারকির অভাবে প্রয়োজনীয় টেকসই হয়না কাজ। সড়কের দুই পাশে ঢালাই করে সড়কের সাপোর্ট শক্ত করতে হবে। সড়ক উঁচু করে পানি নিষ্কাসনের ব্যাবস্থা রাখতে হবে।
ট্রাক চালক রবিউল ইসলাম বলেন, সিরাজগঞ্জ থেকে রাতে মাল নিয়ে এসে এখানে সড়কের গর্তে ফেঁসে গেলাম। কাঁচামাল নিয়ে বিপাকে রয়েছি। একদিকে গাড়ি নষ্ট আরেকদিকে কাঁচামাল নষ্ট হবার চিন্তা। আমাদের চিন্তা কেউ করেনা। সরকার বরাদ্দ দিয়েই দায়িত্ব শেষ করে। পরে ভাগাভাগি শেষে কাজের কাজ কিছুই হয়না। সড়ক তৈরির টেকসই ডিজাইন এবং সিস্টেমের পরিবর্তন আনতে হইবো।
স্কুল শিক্ষার্থী মাহি আক্তার জানান, প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর। বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমে হাঁটা-চলা কঠিন হয়ে পড়ে। সময়মতো ক্লাসে যাওয়া যায় না।
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, সড়কটি স্থায়ীভাবে মেরামতের জন্য মন্ত্রনালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিভাগের পক্ষ থেকে কটিয়াদী থেকে বেতাল বাজার পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন দরপত্র মূল্যায়নের প্রক্রিয়া চলছে। অনুমোদন মিললেই খুব শীগ্রই কাজ শুরু করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh