মৌলভীবাজারের জুড়ীতে মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসন ও সহাবস্থান নিশ্চিতকরণে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের লাঠিটিলা সংরক্ষিত বন এলাকায় এ সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বেলার সিলেট বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর অ্যাডভোকেট শাহ্ সাহেদা এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুজাফ্ফর ফয়সাল। সভায় বক্তব্য রাখেন গোয়ালবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ূম, সিলেট বন বিভাগের কুলাউড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ, জুড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাদ উদ্দিন আহমদ, বিজিবি লাঠিটিলা বিওপি কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. হানিফ উদ্দিন, জুড়ী উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, রাগনা বিট কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম, গাজীপুর বিট কর্মকর্তা আরিফুর রহমান,সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস, মঞ্জুরে আলম লাল, আল আমিন আহমদ, খোর্শেদ আলম, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ,লাঠিটিলা বিটের আজিজুল হক, আবুল বাশার, এবং বেলার সদস্য জিডিসান প্রধান, গীতা গোস্বামী, জুবায়ের আহমদ প্রমুখ।
স্থানীয় জনগণের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আব্দুল হাদী, এরশাদ আলী, ছইব আলী, অহিদ মিয়া, জসিম উদ্দিন, লিয়াকত আলী, মন্তু মিয়া ও ফারুক মিয়া।
বক্তারা বলেন, “প্রাকৃতিক বন ধ্বংস ও বন্যপ্রাণীর খাদ্যসংকটের কারণে হাতিসহ বিভিন্ন প্রাণী লোকালয়ে নেমে আসে। এতে মানুষের জান-মাল, ফসল ও ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়। এভাবে মানুষ-প্রাণীর মধ্যে সংঘাত দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
তারা আরও বলেন, “বিশেষ করে হাতির সাথে সংঘাতে প্রাণহানি ও অর্থনৈতিক ক্ষতি বেশি হয়। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে। হাতি লোকালয়ে এলে তাকে উত্তেজিত না করে নিরাপদ দূরত্বে থেকে বন বিভাগকে দ্রুত খবর দিতে হবে, যেন তারা নিজস্ব পদ্ধতিতে হাতিকে বনে ফিরিয়ে নিতে পারে।”
সভায় বক্তারা মানুষ-হাতি সহাবস্থান নিশ্চিত করতে স্থানীয়দের সচেতনতা বৃদ্ধি, বন সংরক্ষণ, বিকল্প ফসল চাষ ও স্থানীয় পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।