ঝিলংজা বীজ উৎপাদন খামারের (বিএডিসি) সিনিয়র সহকারী পরিচালক (খামার) শাহ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। কক্সবাজার পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের নাপাঞ্জা পাড়ায় রাতের আঁধারে এলাকার একমাত্র পানি চলাচলের নালা ভরাট করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ৪নং খতিয়ানের ৬৬৯৬ দাগে (বি.এস সিট নং-৬, আর.এস সিট নং-৫) অবস্থিত দীর্ঘদিনের পুরনো নালাটি ওই কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে এবং তার যোগসাজশে রাতারাতি মাটি ফেলে ভরাট করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নালা ভরাটের কারণে অল্প বৃষ্টিতেই এলাকায় পানি জমে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি ঘরে ঢুকে পড়ায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এলাকাবাসীর দাবি, বিষয়টি শাহ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনকে একাধিকবার মৌখিকভাবে, সরাসরি সাক্ষাতে ও ফোনের মাধ্যমে জানানো হলেও তিনি কর্ণপাত না করে বরং নালা ভরাটে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করেছেন। নালার পাশেই ঝিলংজা বীজ উৎপাদন খামার অবস্থিত। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই খামারের প্রভাব খাটিয়ে তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থে নালা ভরাটে সহযোগিতা করেছেন।
এলাকাবাসীর বৃহত্তর স্বার্থে পুরনো নালাটি পুনরায় খনন করে পানি চলাচল স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসী কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরীর বরাবর লিখিত অভিযোগও করেছেন।
বিষয়টি জানতে চাইলে ঝিলংজা বীজ উৎপাদন খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক শাহ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন বলেন, “অভিযোগের বিষয়টি সত্য নয়। যারা নালা হয়নি। হাঁটতে হাঁটতে চলাচলের রাস্তা হয়ে গেছে। তবে নালার জায়গায় নালা হবে - দ্রুত সময়ে খনন কাজ শুরু করা হবে।”
নালা ভরাট করে ব্যক্তি সুবিধা নেওয়া ও সরকারি সম্পত্তি দখল নতুন কিছু নয়। তবে এমন ঘটনায় সরকারি কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা প্রশাসনের জন্যও উদ্বেগজনক। স্থানীয়রা অভিযোগের দ্রুত তদন্ত ও নালা পুনরুদ্ধারের জন্য প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন।