সীমান্তঘেঁষা সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি এলাকায় চলছে প্রকাশ্যে অবৈধ বালু ব্যবসা। অবাক করার বিষয়-বিজিবি চিনাকান্দি বিওপি ক্যাম্পের সামনের রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন নিয়মিতভাবে বালু বোঝাই ট্রলি চলাচল করছে। ভোর থেকে শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত থেমে নেই এই বালু পরিবহন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চিনাকান্দি এলাকায় ভোরবেলা থেকেই কয়েক ডজন ট্রলি অবস্থান নেয়। শ্রমিকরা নদী থেকে বালু তুলে ট্রলিতে বোঝাই করে একের পর এক নিয়ে যাচ্ছে ক্যাম্পের সামনের রাস্তায়। কিন্তু বাধা নেই কোথাও। স্থানীয়দের অভিযোগ—বছরের পর বছর এই বালু ব্যবসা চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
চিনাকান্দি বিওপি ক্যাম্পে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন,“আমরা কোনো পারমিশন দিইনি। একাধিকবার বাধা দিয়েছি, কিন্তু কেউ কথা শোনে না।
স্থানীয়দের দাবি, প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় চলছে পুরো বালু সিন্ডিকেট। তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। নদী থেকে নির্বিচারে বালু উত্তোলনের ফলে তলদেশ নিচে নেমে যাচ্ছে, স্রোতের ধারা বদলে যাচ্ছে এবং আশপাশের কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,“প্রতিদিন শত শত ট্রলি চলে এই রাস্তা দিয়ে। ধুলাবালিতে নিশ্বাস নেওয়া যায় না। বিজিবি ক্যাম্পের সামনেই এই অবৈধ ব্যবসা চলছে, অথচ সবাই চুপ।
স্থানীয় সচেতন মহল প্রশ্ন তুলেছেন-বিজিবি ক্যাম্পের সামনেই যখন প্রকাশ্যে অবৈধ বালুর ট্রলি চলে, তখন প্রশাসন নীরব কেন? কারা এই ব্যবসার পৃষ্ঠপোষক? এ বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মোখলেছুর রহমান বলেন,“এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
স্থানীয়রা বলছেন, এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নিলে চিনাকান্দি সীমান্ত এলাকা পরিণত হবে পরিবেশ বিপর্যয়ের নতুন কেন্দ্রবিন্দুতে।