কিশোরগঞ্জের সুলতানপুর বাকলারচর গ্রামের প্রতারক ছাইকুল ইসলাম সৌদি আরবে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে ৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ভৈরব শহরের ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেন জানান, তার ছেলে রাফিউল হোসেনকে সৌদি আরবে পাঠানোর জন্য তিনি বিকাশ ও নগদ নাম্বারসহ হ্যান্ডক্যাশের মাধ্যমে বিভিন্ন ধাপে দালাল ছাইকুল ইসলামকে ৪লাখ ৯৩ হাজার টাকা প্রদান করেন।
ভুক্তভোগী মকবুল হোসেন আরও অভিযোগ করেন, দালাল ছাইকুল ইসলাম কয়েক দফা ফ্লাইটের তারিখ দিলেও শেষ পর্যন্ত বিদেশে পাঠাননি। পরবর্তীতে টাকা ফেরত চাইলে নানা অজুহাতে গড়িমসি শুরু করেন। এই প্রতারক চক্রের ছাইকুল ইসলাম ছাড়াও তার স্ত্রী, ছেলে সৌদি প্রবাসী আজহারুল ইসলামসহ নরসিংদীর মোস্তফা মিয়া এবং কিশোরগঞ্জের গোলাপ মিয়া নামে আরও দুজন জড়িত রয়েছে।
তিনি বলেন, আমি ছেলেকে সৌদি পাঠানোর আশায় টাকা দিয়েছিলাম। এখন টাকাও গেল, ছেলেও বিদেশ যেতে পারেনি। তিনি ওই প্রতারক ছাইকুল চক্রের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মোস্তফা মিয়ার মুঠোফোন নাম্বার একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ প্রতিবেদকের কাছে মুঠোফোনে অভিযুক্ত ছাইকুল ইসলাম স্বীকার করেছেন যে, তিনি বিদেশে লোক পাঠানোর কাজে যুক্ত আছেন। তার ছেলে আজহারুল ইসলাম সৌদি আরবে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কাজ করেন এবং তার মাধ্যমেই বিদেশে লোক পাঠিয়ে থাকেন। ভিসার মেয়াদ না থাকায় তিনি রাফিউল হোসেনকে পাঠাতে পারেননি। সমস্যা হওয়ায় সৌদি আরবে তাকে আর পাঠানো সম্ভব হবেনা বলে জানান। তিনি কয়েকধাপে কিছু টাকা ভুক্তভোগীকে পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সরকার ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। তারা দ্রুত ওই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।