× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

নিরুপায় হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে চলাচল

মমিনুল ইসলাম, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ)

২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৩২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত।

. জমি জটিলতায় ব্রিজ নির্মাণ কাজ বন্ধ

নিরুপায় হয়ে জীবন ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার পোড়াবাড়ী বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজ দিয়ে। এ ব্রিজে হর-হামেশাই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা, তবুও প্রয়োজনের তাগিদে ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হতে হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষের। নড়বড়ে ব্রিজের প্রায় প্রতিটি পাটাতন, এক পাশে ভর দিলে অন্য পাশ ব্রিজের জয়েন্ট থেকে আলাদা হয়ে কিছুটা উপরে উঠে যাচ্ছে। এ সময় নানা দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে পথচারীরা।

‎দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে সংকট নিরসনে ত্রিশাল-আছিম সড়কের পোড়াবাড়ি বাজারে খীরু নদীর বেইলি ব্রিজের পাশে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বেইলি সেতুর পাশে একটি নতুন কংক্রিট সেতু নির্মাণ শুরু করে। ৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৭০ মিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের ২৬ আগস্ট। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় দুই দফা সময় বাড়িয়েও কাজ শেষ হচ্ছে না। 

কাজটি বাস্তবায়ন করছে এমসিই-এমএলএম (জেভি) নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মকবুল হোসেন বলেন, “সেতুর তিনটি স্প্যানের মধ্যে দুটি সম্পন্ন হয়েছে, একটি স্প্যান আটকে আছে। প্রায় ১৯ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন, কিন্তু সেই প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় প্রকৌশল বিভাগ আমাদের জমি বুঝিয়ে দিতে পারছে না। জমি বুঝে পেলে ছয় মাসের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব।”

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে অধিগ্রহণ জটিলতা নিরসনে ভূমি মালিকদের সঙ্গে কথা বলতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আজিম উদ্দিন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমান এবং প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাণাধীন সেতু ও বেইলি সেতুটি পাশাপাশি অবস্থিত। বেইলি সেতুর পাটাতন ও কাঠামো নড়বড়ে অবস্থায় আছে, ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন চলাচল করছে। নির্মাণাধীন সেতুর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কাজ সম্পন্ন হলেও গত এক বছর ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মো. বাছির বলেন, “একবছর ধরে কাজ বন্ধ। মানুষ জায়গা না ছাড়ায় কাজ আটকে আছে।”

আরেক বাসিন্দা এনামুল হক এনাম বলেন, “অধিগ্রহণ জটিলতায় পাকা সেতুর কাজ থেমে আছে। বেইলি সেতুও এখন খুব ঝুঁকিপূর্ণ। কিছুদিন আগেও পাটাতন ভেঙে পড়েছিল। দ্রুত নতুন সেতুটি চালু করা দরকার।”

নির্মাণাধীন সেতুর জন্য অন্তত ১০টি বসতঘর ভাঙতে হবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে স্বামীহারা বাসন্তী রানী চৌধুরীর (৫৪) তিন শতকের ভিটে পড়েছে। তিনি জানান, অধিগ্রহণের টাকা ছাড়া জমি ছাড়বেন না। তবে মঙ্গলবারের বৈঠকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাঁকে দ্রুত টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিলে তিনি জমি ছাড়তে সম্মতি দেন।

ত্রিশাল উপজেলা প্রকৌশলী  বলেন, “৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হলে দ্রুত অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করা হবে।”

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আজিম উদ্দিন বলেন, “পুরোনো বেইলি ব্রিজটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আমরা মাঠে মাপজোক করছি। আশা করি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সাতধারা নোটিশ দেওয়া হবে। পরে প্রাক্কলন তৈরি করে যথাযথ সংস্থায় পাঠানো হবে, টাকা পেলেই অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। মাসদেড়েকের মধ্যে কাজ শুরু করে দ্রুত সময়ে শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি।”

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.