কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের মাদিয়া গ্রামের বিএনপি নেতা বাবুল আখতার কে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও আসামিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসীর সহ নিহত বাবুল আখতারের পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার বিকেল তিনটার সময় ইউনিয়নের মাদিয়া গ্রামের বাজার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন নারী-পুরুষ শিশু-কিশোর সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, বিএনপি নেতা বাবুল আখতার হত্যার ঘটনা প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হতে চলল আজ অব্দি কোন আসামি কে আইনের আওতায় আনতে পারিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আসামিদের যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে না পারে তাহলে এর থেকে আরো কঠোর কর্মসূচি করা হবে বলে জানান তারা।
এ সময় বাবুল আখতারের বড় মেয়ে তানিয়া খাতুন হতাশা প্রকাশ করে জানান, আমার বাবাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চোর ও ছিনতাই চক্রের সদস্য সুইট,আলম,নবীব, টুটুল, সহ তাদের দলবল। দেড় মাস অতিবাহিত হতে চললেও খুনিদের এখনো পর্যন্ত আইনের আওতায় আনতে পারি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
যার কারনে প্রতিনিয়তই খুনিরা আমাদের নানা ধরনের হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন চরমভাবে হতাশায় দিন পার করছি। তারা কখন না জানি আমার পরিবারের ক্ষতি করে ফেলে। তিনি আরো বলেন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারকদের কাছে অনুরোধ করব খুনিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট ২০২৫ তারিখ রাত ৮টার দিকে উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের মাদিয়া বাজারে বাবুল আখতারের উপর আসামিরা সন্ত্রাসী হামলা চালালে বাবুল আখতার গুরুতর আহত হন। বাবুল আখতার কে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।