শীতের আগমন ঘনিয়ে আসছে, আর এ সময়টাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বড়াইগ্রামের খেজুর গাছিরা। শীতের মিষ্টি রস আর গুড় তৈরির আশায় এখন থেকেই খেজুর গাছ পরিচর্যা, পরিষ্কার ও ছাল ছড়ানোর কাজে দিনরাত পরিশ্রম করছেন তারা। বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে, গ্রামের পর গ্রামের খেজুর গাছগুলো ছাল ছড়ানোর পর নতুন করে রস নামানোর প্রস্তুতি চলছে। কেউ গাছ পরিষ্কার করছেন, কেউবা বাঁশের সিঁড়ি বেয়ে গাছের মাথায় উঠে খুন্তি লাগাচ্ছেন।
স্থানীয় খেজুর গাছি শাওন মিয়া জানান, শীতের আগে গাছ প্রস্তুত করতেই এখন সবচেয়ে ব্যস্ত সময়। গাছ ঠিকভাবে না কাটলে বা ছাল না ছড়ালে রস আসে না। তাই এখন থেকেই আমরা গাছের যত্ন নিচ্ছি যেন ভালো রস পাওয়া যায়।
শাওন আরও বলেন, একটা গাছ থেকে যদি ভালো রস পাওয়া যায়। তবে সেটা থেকে ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত লাভ হয়। শীতের তিন-চার মাস এ আয়েই সংসার চলে। খেজুর রস ও গুড় শুধু স্থানীয় বাজারেই নয়, দূরদূরান্তেও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বড়াইগ্রামের খেজুর গুড়ের খ্যাতি আশপাশের জেলাগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে।
উপজেলার কৃষিবীদ মো. সজীব আল মারুফ জানান, সঠিক পদ্ধতিতে গাছ পরিচর্যা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে খেজুর রসের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং গাছের আয়ুও বাড়বে।
শীতের আগমনী বার্তা যেন বড়াইগ্রামের গাছিদের কাছে আসে মিষ্টি স্বাদে ভরপুর এক নতুন আশার গল্প হয়ে - খেজুর রসের গল্পে।