রাজশাহীর তানোরের কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) চোরখৈর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪টি পদে কর্মচারী নিয়োগে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান,স্কুলের উন্নয়নের নামে প্রায় অর্ধকোটি টাকা আদায় করা হলেও একটি টাকারও উন্নয়ন করা হয়নি। তারা বলেন, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মিলেমিশে পুরো টাকা লোপাট করেছে। সম্প্রতি এলাকাবাসী ডাকযোগে (কুরিয়ার) রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি)ও আঞ্চলিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, স্কুলের ৪টি পদে জনবল নিযোগ দিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকা প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মিলেমিশে লোপাট করেছে। তারা বলেন, তৎকালীন এমপির নাম ভাঙিয়ে এসব টাকা লোপাট করা হয়েছে। অথচ এই নিয়োগ কার্যক্রমে এমপির কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। অর্থের বিনিময়ে যোগ্যদের বঞ্চিত করে আওয়ামী মতাদর্শীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে।
অভিভাবক মহল বলেন, সরেজমিন অনুসন্ধান করা হলে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। তারা সরেজমিন তদন্তপূর্বক যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জনবল নিয়োগ পরীক্ষা নিতে হলে, প্রতিষ্ঠানে ১৪৪ ধারা জারী, সীমানায় লাল নিশান উড়ানো ও বিচারিক ক্ষমতা সম্পন্ন একজন সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু নিয়োগে এসবের কোনো কিছুই করা হয়নি। নীতিমালা লঙ্ঘন করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ডিজির প্রতিনিধি, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক আবেদনকারীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়েছেন। এদিন আয়া-পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নিরাপত্তা কর্মী ও অফিস সহকারি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিয়োগ পরীক্ষার আগের দিন গত শুক্রবার সন্ধ্যায় চোরখৈর স্কুল মোড়ে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যে চারজন প্রার্থীকে আলাপ করতে দেখা গেছে। পরের দিন গত শনিবার চাকরির লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় কাকতালীয়ভাবে সেই চারজন উত্তীর্ণ হয়। এতে প্রমাণ হয় এটা জালিয়াতি করে নিয়োগ বাণিজ্যে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক আক্ষেপ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক আইনাল হক সাবেক এমপি ফারুক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়,যে কারণে সে নিজের ক্ষমতা বলে যা খুশি তাই করেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সারাদেশে যেভাবে নিয়োগ হয় এখানেও সেভাবে নিয়োগ হয়েছে, অনিয়ম-দুর্নীতির কোনো সুযোগ নাই, আর এতদিন পর এসব নিয়ে কেনো কথা উঠছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্কুলের সভাপতি (তৎকালীন) মাইনুল ইসলাম স্বপন বলেন, কোনো অনিয়ম করা হয়নি। একটি মহল এতদিন পর এসব অপপ্রচার করছে। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আইনাল হক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়োগ হয়েছে নিয়ম অনুযায়ী। আর টাকা-পয়সা লেনদেনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না, তৎকালীন সভাপতি সব করেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh
