সাভারের আশুলিয়ার খাগান এলাকায় মধ্যরাতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ছয় জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) মধ্যরাতে দুই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে ও বাসে আগুন দেয়ার মত ঘটনাও ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় ব্যাচেলর প্যারাডাইসের সামনে সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী মোটরসাইকেল থেকে থুথু ফেললে তা ড্যাফোডিলের এক শিক্ষার্থীর শরীরে লাগে। এ নিয়ে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। পরে রাত ৯টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থী দেশিয় অস্ত্র ও ইট-পাটকেল নিয়ে ড্যাফোডিল শিক্ষার্থীদের ওই বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।
এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে সিটি ইউনিভার্সিটির দিকে গেলে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত হয়ে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে রাত দুইটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সাভার মডেল থানার বিরুলিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল ওহাব গণমাধ্যমকে বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে খাগান এলাকায় ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পরে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করি। তবে ঘটনাটি মীমাংসার দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীকে মারধর করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। তবে সংঘর্ষে আরও আহত হয়েছে কিনা তা এখনো জানা যায়নি।
এ বিষয়ে সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু জায়গায় আগুন দেখা গেছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটেছে। উত্তেজনার এক পর্যায়ে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ (পুসাব) নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এই ধরনের সহিংসতা নিন্দা করে লিখেছে, ‘এটা কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের আচরণ হতে পারে না। প্রতিবেশী দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঝগড়া হতে পারে, তর্ক হতে পারে, বিবাদ হতে পারে! তাই বলে এভাবে হাজারে হাজারে গিয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ধ্বংস করা, সম্পদ ধ্বংস করা, নিজের ভাই-বোনদের মেরে আহত করা কোনোভাবেই কাম্য না! এটা অসভ্যতা, এটা উগ্রতা, এটা হিংস্রতা! কী করতেছো তোমরা! নিজেদের রক্ত নিজেরাই খাচ্ছো?’
পোস্টে আরও লেখা হয়, ‘মনে রাখবা, এখানে কেউ জিতে নাই, গায়ের জোর দেখায়ে, শক্তি দেখায়ে, জুলুম করে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হল, বাস ধ্বংস করে কখনও জেতা যায় না। এই মানসিকতা যাদের ভেতরে আছে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা উচিত না! আল্লাহর ওয়াস্তে থামো, সবাই মিলে আগুন নেভাও, শান্ত করো, শান্ত হও। নিজেরা নিজেদের ধ্বংস ডেকে আইনোনা।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh
