লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চরপাগলা গ্রামের হাওলাদারপাড়া-বারঘর সড়কটি ৪০ বছরেও পাকা করার উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি। রাস্তাটি নির্মাণের পর থেকেই রয়েছে কাঁচা। বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকার ২০ হাজার মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
এলাকাবাসী জানান, চরকাদিরা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চরপাগলা গ্রামের হোসেন হাওলাদারের বাড়ী থেকে “বারঘর” হয়ে কিল্লার রোড নামক স্থান পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের ৪০ বছর পর থেকেই কাঁচা রয়েছে। রাস্তার আশেপাশে প্রায় ২০ হাজার মানুষের বসবাস। সরকার আসে সরকার যায়, এলজিইডি অফিসার এসে আবার চলে যায়। কিন্তু রাস্তাটি পাকা করার উদ্যোগ কেউ নেয়নি। শুধু আশ্বাসেই পার করলো ৪০ বছর।
গত সরকারের শেষ সময়ে কমলনগর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির লোকজন এসে সার্ভে করে কাজ শেষ করেন। এরপর থেকে আর কোন খবর নেননি তারা। ওই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির এমন দুরাবস্থায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি, এ অবহেলিত অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি পিচ ঢালাই করা হোক। 
স্থানীয় বাসিন্দা আকবর হোসেন আরজু হাওলাদার বলেন, হাওলাদারপাড়া-বারঘর সড়কটি ৪০ বছর ধরে অবহেলিত। প্রতিদিন স্থানীয় ফজুমিয়ারহাট বাজারে যেতে হয়। বর্ষা মৌসুমে হাটবাজারে ও মুমূর্ষু রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে কষ্ট হয়। আমরা দ্রুত রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানাই।
মাওলানা ওসমান গনি বলেন, রাস্তাটির দুপাশে ২০ হাজার মানুষের বসবাস। বর্ষা মৌসুমে স্কুল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা পাঠদান করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে কষ্ট হয়। বর্ষার সময়ে মানুষের হাঁটাচলা বন্ধ থাকে। তখন বাধ্য হয়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে হয়। আমরা চাই গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি পাকা করা হোক। 
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, রাস্তাটি পাকা করার জন্য অনেকবার এ আসনের সাবেক এমপি মেজর (অব:) আবদুল মান্নানের কাছে কয়েকবার অনুরোধ করেছিলাম। তিনি আশ্বাস দিয়েও করেননি। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে রাস্তাটি পাকা করার জোর দাবি জানাই।
চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. হারুন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ওই রাস্তাটি এই ইউনিয়নের একটা গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। অথচ ৪০ বছর হয়ে গেল, রাস্তাটি পাকা করণের কোন উদ্যোগ কেউ নেয়নি। রাস্তাটি পাকা করণের জন্য তিনি এলজিইডি  অফিসারকে অনুরোধ করবেন।
কমলনগর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আব্দুল কাদের মোজাহিদ বলেন, সরেজমিনে গিয়ে দেখে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহাত-উজ-জামান বলেন, বিষয়টি দেখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলবেন।