বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের পর্যটন এলাকা সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে ঢেকে যায়। যদিও সৈকত জুড়ে রয়েছে বৈদ্যুতিক বাতির খুঁটি, কিন্তু বেশিরভাগ জায়গায় জ্বলে না কোনো বাতি। ফলে বিপাকে পড়ছেন দেশের নানা প্রান্ত থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকরা। পর্যটকদের অভিযোগ, সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় সন্ধ্যার পর থেকেই নেমে আসে এক অস্বস্তিকর পরিবেশ। অনেকে বলেন, অন্ধকারের সুযোগে ঘটছে চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ।
আনিসুল হক নামের এক পর্যটক বলেন, সন্ধ্যার পর পরিবার নিয়ে সৈকতে হাঁটতে ভয় লাগে, অন্ধকারে কে কোথা থেকে এসে ছিনতাই করে বোঝা যায় না। আলো থাকলে নিশ্চয় এমন ভয় লাগত না। অন্য এক পর্যটক জানান, সন্ধ্যায় সৈকতের বালিয়াড়িতে হাঁটতে যাই, কিন্তু আলো না থাকায় বিশেষ করে মেয়েদের জন্য পরিবেশটা নিরাপদ মনে হয় না। অন্যদিকে টুরিস্ট পুলিশ নিয়মিত টহল ও অভিযান চালালেও থামানো যাচ্ছে না অপরাধীদের দৌরাত্ম্য। অন্ধকারের সুযোগে বাড়ছে চুরি, ছিনতাই ও হয়রানির মতো ঘটনা।
এ বিষয়ে টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আপেল মাহমুদ বলেন, আমরা নিয়মিত টহল ও অভিযান পরিচালনা করছি। আলো জ্বালানোর বিষয়টি বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি ও জেলা প্রশাসনের দায়িত্বে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারের সুনাম ধরে রাখতে হলে অবিলম্বে সৈকতের আলোকসজ্জা নিশ্চিত করা এবং সিসিটিভি নজরদারি বাড়ানো জরুরি।