সুনামগঞ্জে ভূয়া জুলাইযোদ্ধা ফয়ছল আহমদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে।
স্থানীয় জুলাইযোদ্ধাদের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের ঠাকুরভোক গ্রামের মোহাম্মদ আব্দুস ছালামের পুত্র ফয়ছল আহমদ অঙ্গহানি না হয়েও শ্বশুড়বাড়ীর ঠিকানা ব্যবহার করে এ ক্যাটাগরী গেজেট নং ৪৭৯ মেডিকেল কেস আইডি নং ২৬৪০১ হিসেবে জুলাইযোদ্ধা তালিকায় নাম উঠিয়েছে। ঠাকুরভোক গ্রামের বাসিন্দারা বলেন,ফয়ছল একজন পরিচিত ছাত্রলীগ নেতা এবং তার আত্মীয় স্বজনরা সবাই আওয়ামী রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত।
ফয়ছল আহমদ গত সংসদ নির্বাচনে সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ মান্নানের পক্ষে গণ সংযোগ করেছে। মন্ত্রীর ডিও লেটার নিয়ে এলাকার একজন সরকারী কর্মকর্তা সুনামগঞ্জ জেলা সদরে বদলী ও পদোন্নতি পেয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। উক্ত সরকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে জাল ও ভূয়া কাগজপত্র সংগ্রহক্রমে আওয়ামী লীগ কর্মী থেকে ফয়ছল জুলাইযোদ্ধা হয়। এবং সকলের চোখ ফাকি দিয়ে বর্তমানে ধরা পরার আশঙ্কায় লন্ডনে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সুনামগঞ্জের স্থানীয় জুলাই যোদ্ধারা বলেন,রাজধানীর উত্তরায় ছাত্র জনতার হাতে আহত হয়ে পালিয়ে সুনামগঞ্জ চলে আসে। এখানে এসে খোলস পাল্টিয়ে হয়ে যায় স্বঘোষিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ও ওয়ারিয়র্স ওফ জুলাইয়ের আহবায়ক সেজে বিভিন্ন সরকারি অফিস এবং হাসপাতালে চাঁদা এবং বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করেছে।অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চেয়ে জেলা প্রশাসক ড.মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে অভিযুক্ত ফয়ছল আহমদ তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমি ঢাকার উত্তরার আহত হয়েছি।
স্থানীয়রা জানেনা বিধায় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যাচ্ছে। অঙ্গহানী না হওয়ার পরও কিভাবে এ ক্যাটাগরীর জুলাইযোদ্ধা হলেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। দায়েরকৃত একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে ভূয়া জুলাই যোদ্ধা মোহাম্মদ ফয়ছল আহমদ কে “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পূণর্বাসন সংক্রান্ত জেলা কমিটি,সুনামগঞ্জ” এর সদস্য পদ হতে বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানো হয়েছে।