ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পৌর সদরের ৪ নং ওয়ার্ডের ভাঙ্গা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনের পরিত্যক্ত পুকুরপাড়ের কাশবনের ভেতর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে স্কুলের ছাদে থাকা কয়েকজন ছাত্রছাত্রী ও স্থানীয়রা লাশটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।
নিহতের নাম মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম (২৫)। তিনি শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার ধানকাটি ইউনিয়নের চর মালগা ও ছয়হিস্যা মতেরহাট গ্রামের মৃত রুস্তম খাঁনের ছেলে। প্রায় সাড়ে সাত বছর আগে তিনি ভাঙ্গা উপজেলার নুরপুর গ্রামের মোহাম্মদ কুটির মিয়ার মেয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের পাঁচ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে, নাম তমনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরের দিকে এলাকাবাসী কাশবনে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পরে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত জহিরুল রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। কোনো সময় অটোভ্যান চালাতেন। তবে অতীতে তার বিরুদ্ধে কিছু চুরির অভিযোগও ছিল বলে জানা গেছে। তার মা-বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন। এরপর থেকে তিনি শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস করতেন।
ভাঙ্গা থানার ওসি মো. আশরাফ হোসেন বলেন, “মৃতদেহের গলা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যুতের শটে তার মৃত্যু হতে পারে। ঘটনাস্থল থেকে একটি চাকুও উদ্ধার করা হয়েছে। এটি একটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে—বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, মরদেহটি ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।