জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (৯নং ওয়ার্ডের সদস্য) মো. আমিনুল ইসলামের স্ত্রী স্বপ্না খাতুনের নামে ভিজিডি কার্ডের সন্ধান পাওয়া গেছে। কার্ডে স্বামীর নাম গোপন করে পিতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে রোববার দুপুর দেড়টায় জানিয়েছেন মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. আলমগীর।
জানা যায়, বিধবা/স্বামী পরিত্যক্তা/স্বামী অসুস্থ বা পঙ্গু এবং ২০-৫০ বছরের মধ্যে যে পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই খাদ্যের অভাবে প্রতিদিন কোন না কোন বেলায় খাবার খেতে পারে না তাদের জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে ভিডব্লিউবি কর্মসূচি গ্রহণ করে। আর এ কর্মসুচিতে মেলান্দহ মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জান্নাতুন নাহারের সহযোগিতায় ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নে নানা অনিয়ম এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ৩৫৬ জন সুবিধাভোগীর তালিকা করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম। সেখানে ২০০ নাম্বার সিরিয়ালে স্বামীর নাম গোপন করে পিতা আব্দুল হামিদের পরিচয় রেখে ভিজিডি কার্ড পান চেয়ারম্যানের স্ত্রী স্বপ্না খাতুন। এ বিষয়টি ইউপি সদস্যরা ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে । ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এমন কান্ডে ইউনিয়নের প্রতিটি চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হাট বাজার পর্যন্ত চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা ।
ইউপি সদস্যরা এবং স্থানীয় নাগরিকরা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ আইন অমান্য করে তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদ ও ইউপি সদস্য পদ হারানোর কাজ করেছেন। এ বিষয়টি নিয়ে দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানাই। পাশাপাশি তাকে দ্রুত অব্যাহতি প্রদান করা হোক।
এ বিষয়ে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কোন জনপ্রতিনিধি তার পরিবারের কারো নামেই সুবিধা নিতে পারে না, কোন সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (৯নং ওয়ার্ডের সদস্য) মো. আমিনুল ইসলাম প্রথমে মিথ্যা দাবী করলেও প্রশ্নের মুখে পরে সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমার একটা ফুফাত বোন প্রতিবন্ধী পাগুনী বুঝেছেন। যার কারণে আমার স্ত্রী নামে কার্ড বানিয়ে প্রতিবন্ধী ফুফাত বোনকে সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেছি । তবে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জান্নাতুন নাহার জানান, আপনি অফিসে আসেন এ বিষয়ে পরে কথা হবে ।
এ বিষয়ে জামালপুর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মঞ্জুর আলম জানান, এভাবে কার্ড নেওয়ার কোন সুযোগ নাই। আপনি বিষয়টি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেন। বিষয়টি আমিও দেখতেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. আলমগীর জানান, আমার জানা ছিল না। মাত্র শুনলাম। আমি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলে দিচ্ছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার স্ত্রীর নামে ভিজিডি কার্ড নিতে পারে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কখনোই পারে না ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh
