× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

পাহাড়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিচরণ, স্থানীয়রা শঙ্কিত

কক্সবাজার প্রতিনিধি

০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:০৩ পিএম

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের পাহাড়ী এলাকার সাধারণ মানুষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্যে প্রতিদিন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। গবাদি পশু লুট ও রাতের পর রাত পাহাড়ি এলাকায় গুলির শব্দে তটস্থ হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী পরিবারগুলো। এরই প্রেক্ষিতে জীবনের নিরাপত্তা ও স্বাধীন চলাচলের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী। তবে লোকালয়ে অভিযান থাকলে পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের মুল ডেরায় এ পর্যন্ত মহেশখালী থানা পুলিশ এবং যৌথ বাহিনীর কোন অভিযান না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভের দানা বেঁধেছে। 

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বনে গরু, মহিষ ও ছাগল চরাতে যাই। কিন্তু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আমাদের গবাদি পশুগুলো অস্ত্রের মুখে নিয়ে যায়। পাহাড়ে বসবাসরত এসব সন্ত্রাসীদের কারণে আমরা স্থানীয়রা হুমকির মুখে দিনাতিপাত করছি। উপজেলার কালারমারছড়া বাজারের পূর্বপাশে ফকিরজুম পাড়া ও শাপলাপুরের জেমঘাটের মধ্যবর্তী পাহাড়ে,নোনাছড়ি আঁধার ঘোনা পাহাড়ি এলাকা থেকে আসা একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তার করেছে। তারা ভারী অস্ত্র নিয়ে দিন-রাত  ঘোরাফেরা করছে। পশু নিয়ে গেলে তা আর ফেরত আসে না, এমনকি তারা সড়কে ও বাড়ি ঘরে ডাকাতির মত ঘটনা ঘটিয়েছে ইতিমধ্যে। 

তারা আরও বলেন, ‘সম্প্রতি পাহাড়ের ভেতর ঘাঁটি করে সন্ত্রাসীরা সন্ধ্যার পর থেকে আনাগোনা বাড়িয়ে দিয়েছে। রাত হলেই গুলির শব্দে আমরা আতঙ্কে ঘুমাতে পারি না। দিনের বেলায় কেউ পাহাড়ে যেতে সাহস করে না। একটা স্বাধীন দেশে এভাবে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের অবাধ বিচরণ আমাদের গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলছে।’

জানাগেছে, পলাতক আওয়ামীলীগের নেতাদের সৃষ্টি সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছে। মাঝে মধ্যে লোকালয়ে এসেও হানা দিয়ে এসব অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা খুনের মত ঘটনা ঘটাচ্ছে। 

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) গভীর রাতে উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়নের সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিনুয়ারা সৈয়দের বাড়িতেই এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তার বড় ছেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির কালারমার ছড়া বাজার ইমারতের দায়িত্বশীল। তার বাড়িতে এমন ডাকাতির ঘটনায় নড়েচড়ে বসে উপজেলা ও ইউনিয়ন জামায়াত। দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাত দলকে আটকের হুঁশিয়ারি দেন থানা পুলিশকে। এরইমধ্যে ডাকাত দলের অবস্থান শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।

এছাড়া গত বুধবার (২২ অক্টোবর) গভীর রাতে চিকনী পাড়া এলাকায় এক প্রবাসীর বাড়ি থেকে ৭ ভরি স্বর্ণ ও ৩ লাখ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। শীর্ষ সন্ত্রাসী লম্বা তারেকের নেতৃত্বে, রশিদ বাহিনীর প্রধান রশিদ, কালাবদা বাহিনীর কালাবদা, নাজু বাহিনীর প্রধান নাজু, আব্দুল গফরসহ ২০/২৫ জনের বিশাল ডাকাত দল এ ডাকাতি করে । এরআগে সোনার পাড়া এলাকার ঢলুর ঝিরিতে ডাকাতি করে লম্বা তারেকের নেতৃত্বে জয়নালসহ অনেকেই। এসময় ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন ডাকাত দলের ওপর চড়াও হন। পরে তৌহিদ নামের ডাকাত দলের এক সদস্যকে গণপিটুনি দেয় গ্রামবাসী। ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করে ডাকাত সদস্যকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় লম্বা তারেক। মুলত পাহাড়ের ডাকাত নির্মূল করা না গেলে স্থলে কিছুতে শান্তি ফিরবেনা বলে মনে করছেন সর্বস্তরের বাসিন্দারা।

জানাগেছে, পাহাড় অধ্যুষিত কালারমারছড়া এমনিতে হত্যা গুপ্ত হত্যা লেগেই আছে। গুলির শব্দ আতঙ্কে, সাধারণ মানুষ। এছাড়ার অস্ত্রের মুখে গরু লুট যেন নিত্যদিনের ঘটনা। সন্ত্রাসীদের পাহাড়ে গরু জবাইয়ের মাধ্যমে ভূরিভোজ করে গুলি বর্ষণ করে এলাকায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এর থেকে নিস্তার চাই সাধারণ মানুষ। 

এর মধ্য বহিরাগত সন্ত্রাসীদের অবাধ বিচরণে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে অত্র এলাকার বাসিন্দারা। এ মুর্হুতে কোস্টগার্ডসহ যৌথ বাহিনী চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে এসব সন্ত্রাসীদের কিংবা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না গেলে বড় এ ধরনের অঘটন ঘটাতে পারে অস্ত্রধারীরা এমনটি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। 

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোস্টগার্ডের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে শীগ্রই কালারমারছড়া ও শাপলাপুর পাহাড়ে অভিযান হবে।


Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.