ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও টেকসই সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে দেশব্যাপী জাটকা ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ৮ মাস মেয়াদি এই নিষেধাজ্ঞা চলবে। এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রায়পুরে কিছু অসাধু জেলে ছোট ইলিশ বা জাটকা শিকার করে নিধন করছে। জাটকা ইলিশ নিধন ঠেকাতে প্রশাসন বরাবরই দ্বায়িত্বশীল তারই ধারাবাহিকতায় মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন-১৯৫০ অনুযায়ী সোমবার সকালে সাজু মোল্লার ঘাটের পিছনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মেহেদী হাসান কাউছার এর নেতৃত্ব একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করে ১০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়।
এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার জনাব মো. রাশেদ হাসান এবং কোস্ট গার্ড বিসিজি স্টেশন রায়পুর এর সিসিসহ সঙ্গীয় ফোর্স। জব্দকৃত জাটকা পীর-এ-কামেল বড় মিয়া ছাহেব বাগদাদী (রঃ) দায়রা এতিম খানা,পীর ফজলুল্লাহ লিল্লাহ বোডিং এতিমখানা,দারুল কোরআন এতিমখানা ও হাফেজীয়া মাদরাসা,দেওয়ান বাড়ি মমতাজুল উলুম ক্বাওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানা, মধ্য সাগরাদী নূরাণী হাফেজিয়া এতিমখানা মাদরাসায় বিতরণ করা হয়।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার জনাব মো. রাশেদ হাসান বলেন এর আগে ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ২০২৫ (১৯ আশ্বিন থেকে ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ) পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে প্রজননক্ষম ইলিশ রক্ষায় ‘ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ বাস্তবায়ন করা হয়। ওই সময়ে ডিমওয়ালা ইলিশ থেকে নিঃসৃত ডিমের পরিস্ফুটনের মাধ্যমে উৎপাদিত পোনা বর্তমানে উপকূলীয় নদ-নদী ও মোহনাসমূহে বিচরণ করছে। এসব পোনা নিরাপদে বেড়ে উঠতে পারলেই ভবিষ্যতে দেশের ইলিশ উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ (সংশোধিত) আধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৮৫ অনুযায়ী, উক্ত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করলে অনধিক ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।উপজেলা প্রশাসন, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, র্যাব, ও স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতায় কঠোরভাবে এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করবে এবং জনস্বার্থে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।