সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফ এর অবৈধ অনুপ্রবেশ ও কৃষকদের ফসল নষ্টের ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) ও ১৭০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার, পিএসসি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পতাকা বৈঠকে বিএসএফ টহল দল ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে কৃষকের ফসলের বেড়া এবং ফসল নষ্ট করার বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান। প্রত্যুত্তরে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ ও কৃষকের ফসল নষ্ট করার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ক্ষতিপূরণের বিষয় জানানো হবে বলে জানান। ভবিষ্যতে অবৈধভাবে প্রবেশের বিষয়ে বিএসএফ সদস্যদের নির্দেশনা প্রদান করা হবে এবং বিএসএফ টহল দলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান।
এর আগে, রোববার (২ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) এর অধীনস্থ বিয়াবাইল বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর নামক স্থানে ১৭০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পিন্নানগর ক্যাম্পের একটি টহল দল সীমান্ত পিলার ১৩৪৫ হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সুরমা নদী পার হয়ে অনুপ্রবেশ করে। তথ্য প্রাপ্তির সাথে সাথে বিয়াবাইল বিওপি-এর নিয়মিত টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গমন করে।
বিজিবি সদস্য উক্ত স্থানে পৌঁছার পূর্বেই স্থানীয় জনগণের বাধার মুখে বিএসএফ টহল দল দ্রুত ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়। টহল দল স্থানীয় ফসলের বেড়া এবং ফসল বিনষ্ট করে। বিজিবি টহল দল তৎক্ষণাৎ ঘটনাটি বিওপি কমান্ডার এবং অধিনায়ককে অবগত করেন। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে বিওপি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের জন্য বিয়াবাইল বিওপি কমান্ডার ও বিএসএফ পিন্নানগর ক্যাম্প কমান্ডারকে আহ্বান জানান।