ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় কিশোরীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুল করিম (৭৬) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গাছে বেঁধে-জুতার মালা পরিয়ে নির্যাতন করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঐ কিশোরীর বাবা মো. শাহিন মিয়া বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার (৪নভেম্বর) রাতে পাগলা থানায় মামলা দায়ের করেছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গাছে বেঁধে-জুতার মালা পরিয়ে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরায় গফরগাঁওয়ে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার পাগলা থানাধীন মশাখালী ইউনিয়ের মুখী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পাগলা থানার ওসি মো. ফেরদৌস আলম জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) আসামি আব্দুল করিমকে ময়মনসিংহ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার পাগলা থানাধীন মশাখালী ইউনিয়নের মুখী গ্রামের অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিমকে একই গ্রামের শাহিন মিয়ার কিশোরী (১৬) মেয়েকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে আটক করা হয়। আটকের পর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিমকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। খবর পেয়ে পাগলা থানা পুলিশ ঔদিন বিকেলে তাকে হেফাজতে নেয়। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিমের বাড়ি একই এলাকায়।
কিশোরীর বাবা মো. শাহিন মিয়া বলেন, তার মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েকে বাড়িতে একা পেয়ে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম। এসময় মেয়ের চিৎকার শুনে আশ পাশের লোকজন তাকে আটক করে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিমকে নিয়ে আসার সময় গলায় জুতার মালা ছিল না।
পুলিশ হেফাজতে থাকা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম জানান,মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে পার্শ্ববর্তী ভালুকা উপজেলার বিরুনিয়া বাজার থেকে বাড়ি আসছিলেন তিনি। ফেরার পথে মিথ্যা অভিযোগে শাহিন তাকে আটক করে। পরে শাহিন এবং তার ছেলে হাবিবুল্লাহ বাড়ির পাশে একটি গাছে প্রায় তিন ঘন্টা বেঁধে রেখে গলায় জুতার মালা পড়িয়ে মারপিট করে। পূর্ব বিরোধের জেরে শাহিন তাকে এ ধরণের নির্যাতন করেছে বলে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম জানিয়েছেন।