জামালপুরের মাদারগঞ্জের ইসলামাবাদ ওয়াসিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে স্যানেটারী ব্যবসা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুনারীতলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি আলমগীরের বিরুদ্ধে স্যানেটারী ব্যবসা করার অভিযোগ উঠছে। স্যানেটারী ব্যবসার ফলে ক্রীড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক এবং শিক্ষক- কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ছানোয়ার হোসেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় স্থানীয় ও উচ্চ বিদ্যালয় সুত্রে জানা যায়, বিদ্যালয় মাঠের দক্ষিণের পশ্চিম প্রান্তে টিনসেড ঘরে মেসার্স আলমগীর এন্টারপ্রাইজ এর নামে দীর্ঘদিন ধরে চলছে স্যানাটারী ব্যবসা । এ ব্যবসা করেন আলমগীর কবির। কয়েক বছর পুর্বে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রেজুলেশনের মাধ্যমে পনেরোশত টাকার (প্রতি মাসে) ভাড়ায় ব্যবসা করার সুযোগ দেন ইউপি চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান।
মর্তুজাসহ একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, স্কুল মাঠে আমরা খেলতে গিয়ে স্যানেটারী সামগ্রী দিয়ে ব্যাথা পায়, দৌড়ে বল নিতে গিয়ে আঘাত পাই।
অন্যদিকে ইসলামাবাদ ওয়াছিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাহারুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ স্কুল মাঠ সম্পূর্ণ খালি করে শিক্ষার্থীদের খেলার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেন। আমি তাকে নোটিশ প্রদান করেছি জায়গায় ছেঁড়ে দেওয়ার জন্য। বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ কাছে গিয়ে সুপারিশ করে কিছুদিন সময় বাড়ানোর জন্য। আমি বর্তমান এডহক কমিটির মাধ্যমে সর্বশেষ ৩য় বারের মতো নোটিশ দেই এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জায়গা ছেড়ে না দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মেসার্স আলমগীর এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী আলমগীর কবির সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি না হওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল্লাহ সাইফ জানান, এখনো থানায় কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া মাত্র ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ছানোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ শিক্ষার্থীর জন্যই উন্মুক্ত অন্য কোন কাজে ব্যবহার করার সুযোগ নাই। যদি স্কুল কর্তৃপক্ষ এরকম কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে সেটা অবশ্যই সঠিক হয়নি।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাদির শাহ মুঠোফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।