সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল সম্প্রতি দালালমুক্ত সেবা চালু করেছে। প্যাথলজি বিভাগও রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকায় রোগীরা সন্ধ্যার পরও সেবা গ্রহণ করতে পারছেন। রোগীরা জানিয়েছেন, হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর পরিবেশে তারা সাচ্ছন্দ্যে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন।
সম্প্রতি সিভিল সার্জন ডা. মো.আ.সালামের নেতৃত্বে হাসপাতালের সেবা ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং রোগীর জন্য অপেক্ষাকালীন পরিবেশের মান বৃদ্ধি করা হয়েছে। রোগীরা হাসপাতালের সেবার মান পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তবে হাসপাতালের রোগীর চাপ কিছুটা বেশি। ডাক্তার ও নার্সরা জনবল সংকটে হিমশিম খাচ্ছেন। রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় কখনও কখনও সেবা প্রদানে অপেক্ষার সময় বাড়ছে। হাসপাতাল প্রশাসন জানিয়েছে, যথাযথ কর্মী সংযোজন ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই চাপ কমানোর চেষ্টা চলছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জেলার সদর হাসপাতালের বেড সংখ্যা ও কর্মী গড়ের তুলনায় রোগীর চাপ বেশি। এতে ডাক্তার ও নার্সদের কাজের চাপ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে বিকেল ও রাতের শিফটে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেবা দিতে সময় ও শ্রম বেশি প্রয়োজন।
হাসপাতালের দালালমুক্ত উদ্যোগ এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশ স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে রোগীর চাপ ও জনবল সংকট সমাধান না হলে উন্নয়ন কার্যকরভাবে ফলপ্রসূ হবে না। সঠিক পরিকল্পনা, পর্যাপ্ত জনবল ও মনিটরিং নিশ্চিত করতে হবে।
রোগীর স্বজনরা জানান, সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হাসপাতালটি আরও দ্রুত ও মানসম্মত সেবা দিতে পারবে। “দালালমুক্ত সেবা এবং রাত ৮টা পর্যন্ত প্যাথলজি খোলা থাকায় সেবা নেওয়া অনেক সহজ হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের এই উদ্যোগ জেলা স্বাস্থ্যসেবার জন্য একটি মডেল হতে পারে, যদি পর্যাপ্ত কর্মী ও সেবার মান বজায় রাখা যায়।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুস সালাম বলেন, “আমরা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালকে সম্পূর্ণভাবে দালালমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। এর ফলে রোগীরা এখন সরাসরি চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন, কোনো হয়রানির শিকার হচ্ছেন না। হাসপাতালের পরিবেশ, সেবার মান ও ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করছি। প্যাথলজি বিভাগ রাত ৮টা পর্যন্ত চালু রাখায় রোগীরা সন্ধ্যার পরও সেবা নিতে পারছেন-এটি জনগণের চাহিদা পূরণের একটি অংশ। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিটি রোগী যেন সময়মতো, সঠিকভাবে এবং সম্মানজনকভাবে চিকিৎসা পায়। তবে স্বীকার করতে হচ্ছে, রোগীর চাপ অনেক বেড়েছে। বর্তমান জনবল দিয়ে এই চাপ সামলানো কঠিন। আমরা ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অতিরিক্ত ডাক্তার ও নার্স নিয়োগের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। যথাযথ জনবল, সঠিক মনিটরিং ও সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালকে জেলার মডেল হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”