‘সংঘাত নয়,শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ফেনীতে ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপের আয়োজনে ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মানে তারুণ্যের ভাবনা’ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে ফেনী সরকারি কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এনামুল হক খন্দকার। প্রধান বক্তা ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগ ফেনীর উপ- পরিচালক ও ফেনী পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন। কো-অর্ডিনেটর মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে ও আরিফ শুভ্রর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পিএফজির আঞ্চলিক সমন্বয়কারী ও দৈনিক ফেনীর সময় সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আ.ন.ম আব্দুর রহিম ও কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসেন। 

এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন মামুন,ছাত্রশিবির ফেনী শহর শাখার সভাপতি ওমর ফারুক, জেলা শাখার সভাপতি আবু হানিফ হেলাল,ক্রীড়া সংগঠক শরীফুল ইসলাম অপু,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মুহাইমিন তাজিম,স্বেচ্ছাসেবক পরিবারের সংগঠক ওসমান গণি রাসেল,ছাত্র অধিকার পরিষদ ফেনী জেলা শাখার সভাপতি গাজী ইউছুপ বাপ্পি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন জামশেদ, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ফেনী জেলা শাখার সভাপতি জিয়া উদ্দিন, খেলাফত ছাত্র মজলিসের জেলা নেতা এছহাক ভূইয়া ও ছাত্রশক্তির জেলা সংগঠক সালমান হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর এনামুল হক খন্দকার বলেন,“ফ্যাসিস্ট সরকারকে মূলোৎপাটন করার জন্য আমাদের তরুণরা জীবন দিয়েছে। তারা আমাদের পথ দেখিয়েছে। তরুণ সমাজের মেধার বিকাশে যথাযথ মনযোগী হতে হবে। তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়াতে হবে৷ বিশেষ করে নিজেদের  দক্ষতা বাড়াতে হবে৷ তরুণদের নিজেদের দক্ষতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে ছাত্র সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।  ছাত্র সংগঠনগুলোকে শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। আমাদের সম্প্রীতির রাজনীতি করতে হবে। ছাত্র সংগঠনগুলোকে বিশৃঙ্খলার রাজনীতি পরিহার করতে হবে। আমি বলবো, হিংসা এবং হানাহানি বন্ধ করে তোমাদের এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে আমাদের তরুণ সমাজ যদি দক্ষ না হয় তাহলে আমাদের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জে টিকে থাকা কঠিন হবে।”

প্রধান বক্তা গোলাম মোহাম্মদ বাতেন বলেন,“সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে আমাদের জন্য কি কি চ্যালেঞ্জ আছে তা আমাদের বাহির করা প্রয়োজন। এ দেশে সকল ধর্মের লোক আছে। এখানে একটা ঐতিহ্য আছে। এটা তরুণ প্রজন্মকে জানাতে হবে। তরুণ প্রজন্মের মাঝে সম্প্রীতির বীজ বপন করে দিতে হবে।”