রংপুর ডিবি’র বিশেষ অভিযানে সংঘবদ্ধ (অজ্ঞানপার্টি) অটোরিক্সা চোরচক্রের ৭ জন গ্রেফতার। অভিযানে ৩টি চোরাই অটোরিক্সা উদ্ধার করেছে ডিবি। জানা গেছে, গত ১৫ অক্টোবর রংপুর জেলার বদরগঞ্জ খানায় একটি অটোরিক্সা চুরির মামলা রুজু করা হয়। মামলাটি অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিষয়ে অনুসন্ধানকালে রংপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) এর নেতৃত্বে রংপুর জেলা ডিবি টিমের এসআই (নিরস্ত্র) অমিত পার্শ্ব সরকার ও এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ একরামুল হক সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চেতনা নাশক ঔষধ ব্যবহার করে অটোচালককে অজ্ঞান করে অটোরিক্সা চুরির সাথে জড়িত চোরচক্রের ব্যক্তিদের বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে রংপুর মহানগরের সিগারেট কোম্পানি এলাকা হতে
চোরচক্রের হামিদুল ইসলাম গ্রেফতার করা হয়। পরে তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ১। মোঃ হামিদুল ইসলাম, পিতা মৃত নবাব আলী, গ্রাম-বাহার কাছনা তেলিপাড়া, খানা-হারাগাছ, আরপিএমপি, রংপুরকে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাইবান্ধা থানার উত্তর হরিণশিংহা গ্রামের অটো চোরচক্রের মূল হোতা আসামী সুজন মিয়া কে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্য কাউনিয়া থানা রেলগেট এলাকা থেকে একটি অটো রিক্সা সহ গ্রেফতার করা হয়।পরে ওই দুজনের তথ্য মতে চুরিকৃক্ত অটোরিক্সা ক্রয়-বিক্রয়ের সহযোগিতার অভিযোগে গঙ্গাচড়া থানার গজঘন্টা এলাকার নুর ইসলাম ও পরশুরাম থানার বুড়িরহাট ফার্ম
কোবারু এলাকার জহরুল ইসলামসহ দু’জন কে রংপুর মহানগরের ময়নাকুটি এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। পরে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে গংগাচড় খানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত আতিয়ার রহমান, মুন মিয়া (৩২),ফারুক হোসেন (৩২) নামের তিন চোরচক্রের দুইটি চোরাই অটোরিক্সার ব্যাটারি সহ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে কাউনিয়া ও গংগাচড়া খানায় পৃথক দু’টি মামলা রুজুর প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।
রংপুর জেলা পুলিশ জানায়, চোরচক্রটি দীঘদিন যাবৎ রংপুরসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে মারাত্মক চেতনানাশক ঔষধ ব্যবহার করে গরীব মেহনতি অটোচালকদের প্রাণনাশসহ অটোচুরির সাথে সক্রিয়ভাবে কাজ করছিল। তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। চুরি প্রতিরোধসহ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রংপুর জেলা পুলিশ সহযোগিতা কামনা করেন।