জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌরসভার ইটাখোলা বাজারসংলগ্ন পূর্বপাড়া এলাকায় চারটি পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছেন প্রতিপক্ষ এক পরিবার। ফলে গত ১৫ দিন ধরে চারটি পরিবার অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। পৌরসভা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মৃত শফির মণ্ডলের চার ছেলে-রফিকুল ইসলাম, বকুল, সাইদুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলামের বাড়ির প্রবেশপথে প্রায় ৮ ফুট উঁচু কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। ফলে পরিবারের সদস্যদের জানালা বা পেছনের দিক ঘুরে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মৃত শফির মণ্ডলের বৈমাত্র ভাইদের মধ্যে কোনো বিরোধ ছিল না। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর বসতবাড়ির জমি বণ্টনকে কেন্দ্র করে বিরোধের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ জাহিদুল ও আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে তাদের বাড়ির দরজার সামনে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ওই এলাকার ব্যবসায়ী সাজিদ মণ্ডল বলেন, আব্দুর রহমান বেঁচে থাকতে তাদের মধ্যে কোনো ঝামেলা ছিল না। তার মৃত্যুর পর থেকেই এ সমস্যা শুরু হয়। রাজ্জাকের লোকজন সংখ্যায় বেশি হওয়ায় অপর পক্ষ কিছুই করতে পারছে না। আমার জানা মতে তারা ৩২ বছর ধরে ওই রাস্তা ব্যবহার করছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া এর সমাধান সম্ভব নয়।
ভুক্তভোগী শহিদুল, রফিকুল, সাইদুল ও বকুল বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকে আমরা এখানে বসবাস করছি। জমির সীমারেখা অনুযায়ী এই পথ আমাদেরই। এখন আমাদের বাড়ির মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে তারা আমাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে ন্যায্য বিচার চাই।
অভিযুক্ত জাহিদুল ও আব্দুর রাজ্জাকের দাবি, আমাদের ২৯ শতক জমির দেড় ফুট জায়গা ছেড়ে প্রাচীর দিয়েছি। ওদের পেছনের দিক দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা আছে। আমার জায়গার এক ইঞ্চিও ছাড়ব না।
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল পৌরসভার প্রকৌশলী আফতাব হোসেন বলেন, মানুষের যাতায়াতের পথ বন্ধ করা কখনোই কাম্য নয়। বিষয়টি জানার পর আমরা সেখানে গিয়েছিলাম এবং রাজ্জাককে দ্রুত কাঁটাতারের বেড়া খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এরপর পৌর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আইনগতভাবে দেখছে।