ফেনীতে যুবদল নেতা ইঞ্জিনিয়ার এনায়েত উল্লাহ সোহেল হত্যাচেষ্টা মামলায় বিএনপি-ছাত্রদলের তিন নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।এরা হলেন-জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সাইফুর রহমান রতন, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ- সভাপতি আবুল হাসেম বাহাদুর ও জেলা ছাত্রদলের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি জামশেদুর রহমান ফটিক।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ফেনী জেলা ও দায়রা জজ মোহা. সিরাজুদ্দৌলা কুতুবী তিন জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়,গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবসে দাগনভূঞায় বিএনপির বিজয় র্যালীতে বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা ফটিকের নেতৃত্বে স্বদলীয় প্রতিপক্ষরা অতর্কিত হামলা করে নেতাকর্মীদের মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ও মারধর করে। এসময় ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও অতর্কিত হামলায় উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি জাহানারা বেগম, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইমুন হক রাজীব, সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম মানিক, যুবদল নেতা ইঞ্জিনিয়ার এনায়েত উল্যাহ সোহেল ও সরোয়ারসহ ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হন।
এর মধ্যে মারাত্মক আহত হয় যুবদল নেতা এনায়েত উল্যাহ সোহেল। তার মুখমন্ডলের চোয়ালের হাড় ভেঙ্গে যায়, আংশিক নষ্ট হয়ে যায় ডানচোখ। এখনও তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। মারাত্মক আহত যুবদল নেতা ইঞ্জিনিয়ার এনায়েত উল্যাহ সোহেল বাদি হয়ে আদালতে চারজনকে আসামী করে হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় ফটিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পরে হাইকোর্ট থেকে তারা ৬ সপ্তাহের জামিন নেন।এদিন তাদের মধ্যে দাগনভূঞা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কবির আহমেদ ডিপলুর জামিন মঞ্জুর করে বাকী ৩ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ফেনী কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম হত্যাচেষ্টা মামলায় ৩ জনকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।