দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিএনপি’র মিছিলে ককটেল হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন পদধারী আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। ফুলবাড়ী থানা পুলিশ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতভর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকে আটক করে। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে আটককৃতদের দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার ৬নং দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মো. আকবর আলীর ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মে. তৈবুর রহমান লাজু (৪৫), ৪নং বেতদীঘি ইউনিয়নের খড়মপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে ও বেতদীঘি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান (৫২), একই ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামের মো. আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে ও ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. মেজবাবুল রহমান (৩৭) এবং তার সহোদর ওয়ার্ড যুবলীগের শিক্ষা ও গাঠাগার বিষয়ক রসম্পাদক মিজানুর রহমান (৩৬) ও ১নং এলুয়ারি ইউনিয়নের ডাঙা গ্রামের মৃত সায়েদ আলী মোল্লার ছেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহজাহান আলী (৫২)।
থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) মো. সিদ্দিকু রহমান বলেন, সোমবার রাতভর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের উল্লেখিত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ফুলবাড়ীতে বিএনপি’র মিছিলে ককটেল হামলার মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির প্রতিবাদে চলতি বছরের গত ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। সেই মিছিলে ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এতে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী সাহাজুল এবং জেলা বিএনপি’র সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহম্মেদ চৌধুরী খোকন, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ ইসলাম, যুবদল কর্মী নুরুন্নবী বকুলসহ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ ইসলাম বাদী হয়ে ৫৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০০-১৫০ জনের নামে বিস্ফোরক আইনে ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় তদন্তেপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।