শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সরকারি জায়গায় মসজিদের মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগসহ মসজিদ কমিটি নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ১১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুরে উপজেলা মিলমালিক ও খাদ্য সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বাজারের বড় মসজিদের মার্কেট নির্মাণ ও ৫ তলা ভবনের ভিত্তি স্থাপন নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব মো. জহুরুল ইসলাম মিলন। ওইসময় তিনি বলেন, ঝিনাইগাতী বাজারে বড় মসজিদের সাবেক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মসজিদের ৫৫২ নং প্লট কাটা ২০ শতাংশ ভূমিতে মার্কেট ও ৫ তলা মসজিদ নির্মাণের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি ক্রয় ও নির্মাণ কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু বর্তমানে নবগঠিত বিতর্কিত মসজিদ কমিটি ওই কমিটিকে তোয়াক্কা না করে রাস্তা সংলগ্ন সরকারি ১নং খাস খতিয়ানের জায়গায় টেন্ডারের মাধ্যমে মার্কেট করে দোকান বরাদ্দ দেয়ার জন্য জামানত বাবদ প্রায় কোটি টাকা আদায় করেছেন। ভূমি পরিমাপ ছাড়া রাস্তা সংলগ্ন সরকারি জায়গায় মার্কেট করলে জনসাধারণ ও মালামাল পরিবহনে বিঘ্ন ঘটবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় মুসল্লী হাফেজ মো. আব্দুল আজিজ বলেন, নিজেদের লোক নিয়ে এসে এককভাবে তারা মনগড়া কমিটি তৈরি করেছেন এবং সেই কমিটি সরকারি জায়গায় মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে সিকিউরিটি বাবদ কোটি টাকা আদায় করে মসজিদ নির্মাণ করছেন। এই কমিটি আমরা এলাকাবাসী মানি না। তাই জনগণের মাধ্যমে এই কমিটি পুনঃগঠন করার দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আলহাজ্ব মো. লুৎফর রহমান, আলহাজ্ব মো. বাদশা মিয়া, আলহাজ্ব মো. আবু বক্বর বিএসসি, হাফেজ মো. আব্দুল আজিজসহ স্থানীয় মুসল্লীরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে অভিযোগের বিষয়ে বড় মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান মক্কু জানান, তারা যে অভিযোগ তুলছেন সেগুলো ভুয়া। নিয়ম মেনে সকল মুসল্লীকে সাথে নিয়েই কমিটি করা হয়েছে। আর বাপ-দাদার আমল থেকেই যেখানে মসজিদের মার্কেট দেখে আসছি, সেখানেই নতুন করে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। যারা কমিটির পদে থাকতে চেয়ে থাকতে পারেননি তারাই মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, সরকারি সম্পত্তিতে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের মার্কেট নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়ার কোন বিধান নেই। অভিযোগ পাওয়ার পর এসি ল্যান্ডকে সরেজমিনে দেখার জন্য বলা হয়েছে। তিনি সরেজমিনে পরিদর্শন করে আইনগত যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সেটা নেবেন।