কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ মাঠ সহকারী নাসিমের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, নারী কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতি সহ নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ছাগল পিজির ঘর বাবদ সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎ,ডেইরি পিজির তালিকা ভুক্ত সদস্যদের নাম বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে অন্যকে সদস্য করা ছাড়াও সরকারি ঔষধ বাহিরের ফার্মেসিতে বিক্রি ও নারী কেলেঙ্কার মত গুরুতর অপকর্মের সাথে জরিত এই নাসিম । এমনকি প্রাণিসম্পদ অফিসে জনবল সংকটের সুযোগ নিয়ে মাঠ সহকারী হয়েও নিজেকে ভিএস পরিচয়ে পরিচিত করতে বেশি পছন্দ করেন তিনি। পাশাপাশি সিজারের মত জটিল অপরেশনও করে থাকেন সে।
প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর সরকারি ভাবে ১২০টি ছাগলের ঘর তৈরির জন্য ৩০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ছিল ২৫ হাজার পাঁচশত টাকা করে। পিজি সদস্যদের ঘর তৈরির পর প্রতিটি ঘরে দেড় হাজার টাকা করে অবশিষ্ট থাকার কথা সদস্যদের জানান মাঠ সহকারী নাসিম।
মোট ১২০টি ঘরের অবশিষ্ট ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার কথা নাসিম স্বীকার করলেও এখন পর্যন্ত কোন হিসাব না পাওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে পিজি সদস্যদের মধ্যে।এছাড়াও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে নাসিমের বিরুদ্ধে।গত মাসে নাসিমকে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের চরসাদিপুর এলাকায় এক নারী পিজি সদস্যর সাথে অনৈতিক অবস্থায় হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দেই এলাকাবাসী। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়।তবে প্রাণিসম্পদ অফিসের মাঠ সহকারী নাসিমের মুখোমুখি হলে তিনি স্পষ্ট জানান আমার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ এসেছে সবগুলোই ভিত্তিহীন যদি কোন অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাকে যেই শাস্তি দিবে আমি সেই শাস্তি মেনে নেব।
এবিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. মো. আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, এবিষয়ে এখনো পর্যন্ত আমরা কোন লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পাইনি যদি অভিযোগ পাই তাহলে সেটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।