রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিজিবির সদর দপ্তরের গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকাল থেকেই বিজিবি সদস্যরা মাঠে তৎপর রয়েছে এবং যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কাজ করছে।
অন্যদিকে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির নামে যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে সরকার সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা হলে ন্যূনতম ছাড় না দেওয়ার মনোভাব নিয়ে নিরাপত্তা বলয় সাজানো হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বুধবার থেকেই ঢাকার ভেতর ও প্রবেশপথগুলোতে কড়া নজরদারি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) প্রবেশপথগুলোতে যেকোনো ধরনের জমায়েত ঠেকাতে কাউকে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ‘কথিত’ এই কর্মসূচি ঘিরে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যেকোনো ধরনের অরাজকতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শক্ত অবস্থানে রয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। 'সন্ত্রাসী'দের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না এবং সন্দেহভাজন দেখলেই আইনের আওতায় আনা হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, কর্মসূচি ঘোষণার পর গত ৩ দিনে ঢাকায় অন্তত ১৮টি ককটেল বিস্ফোরণ এবং ১০টি যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত অন্তত ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাশকতার ঘটনায় সারা দেশে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের বিষয় বিবেচনা করে দেশের সব বিমানবন্দরকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
ডিএমপির এক কর্মকর্তা জানান, যারা ককটেল নিক্ষেপ ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগে জড়িত, তাদের বড় একটি অংশ ঢাকার বাইরে থেকে এসেছিল। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে এবং পুরনো ভিডিও পোস্ট করে ১৩ নভেম্বর ঘিরে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। তবে এসব বন্ধে পুলিশের সাইবার ইউনিটগুলো কাজ করছে।