ছবি: সংবাদ সারাবেলা।
গত বছরের ৩ নভেম্বর রাতে রংপুর নগরীর লক্ষ্মী সিনেমা হলের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন রফিকুল ইসলাইসলাম। বেপরোয়া গতিতে চলা একটি প্রাইভেট কার তাকে ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রফিককে যখন ধাক্কা দেয়, তখন তিনি মোটরসাইকেলে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এ দুর্ঘটনায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের পাশাপাশি তার ডান পা মুচড়ে যায়। দীর্ঘ কয়েক মাসের চিকিৎসা আর লম্বা বিশ্রামে এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ। চলাফেরা স্বাভাবিক হলেও মাঝেমধ্যে পায়ের ব্যথা তাকে মনে করিয়ে দেয় সেদিনের ভয়াবহতার কথা।
পেশায় সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিনিধি। ওই দুর্ঘটনার পর চিকিৎসা করাতে তাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে, ভারি হয়েছে ঋণের বোঝা। কিন্তু তিনি জানতেন না সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সরকার আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকেন।
সম্প্রতি বিআরটিএ কার্যালয়ে গিয়ে তিনি এ বিষয়টি জানতে পারেন। এই প্রতিবেদককে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা করছি। সরকার সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়, এটা আমার জানা ছিল না। সাধারণ মানুষের কাছে এমন মহৎ উদ্যোগের কথা জানাতে বেশি বেশি প্রচার প্রচারণা দরকার বলে তিনি মনে করেন ।
রফিকুল আরও বলেন, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হয়, এই সময়টুকু সীমিত। বিশেষ করে যারা দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন কিংবা মৃত্যু হয়, তাদের পারিবারিক অবস্থা বিবেচনায় সময় বাড়ানো উচিত। সরকারের উদ্দেশ্য যেহেতু ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো, এ কারণে এই আইনের সংশোধন করে এক মাসের পরিবর্তে অন্তত দেড় থেকে দুই মাস করলে অনেকেই আবেদন করতে পারবেন।
রফিকুল ইসলামের মতো অনেকই জানেন না সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। তাদের অভিযোগ, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা না চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বেশিরভাগ মানুষ এটি সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত নয়। এ জন্য দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা ছাড়াও জনবহুল এলাকা, হাট-বাজারে এ সম্পর্কিত প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি বিলবোর্ড স্থাপনের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে নজর দেয়ার তাগিদ করছেন অনেকেই। কেউ কেউ মনে করছেন, সড়ক দুর্ঘটনার পর আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন করার সময়সীমাও বাড়ানো প্রয়োজন।
আবেদনের সময় বাড়ানোর দাবি
সম্প্রতি ঢাকা থেকে বাসযোগে রংপুরে ফেরার পথে বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন শিরিন আকতার। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পরিবারের লোকজন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন শিরিন। পরিবারের বেশিরভাগ লোক তাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সরকারি সহায়তা প্রাপ্তির জন্য বিআরটিএ’র ট্রাস্টি বোর্ডের অনুকূলে আবেদন করতে পারেননি তিনি।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর ছোট বোন ফারজানা বেগম ববির সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা জানতাম না দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সরকার সহায়তা দিয়ে থাকে। হাসপাতলে একজনের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি তাতে রোগীকে রেখে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন জমা করা আমাদের জন্য একটু কষ্টকর। দুর্ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে আবেদনের যে সময়সীমা বেঁধে দেয়া আছে, তা বৃদ্ধি করা উচিত। তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবার সরকারের এই আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করতে পারবেন।
সহায়তা দেয় সরকার, জানেন না অনেকেই
রংপুর নগরীর নজিরেরহাট এলাকার আব্দুর রহিম অনিক গত ২৪ সেপ্টেম্বর বদরগঞ্জ রোডে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও সন্তানসহ গুরুতর আহত হন। চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেও এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন তিনি। পারিবারিকভাবে অসচ্ছল অনিকের পরিবার ধারদেনা করে চিকিৎসা করাচ্ছেন। এখন একদিকে ঋণ পরিশোধের চিন্তা অন্যদিকে চিকিৎসায় ব্যয়। এ পরিস্থিতিতে সরকারের সহায়তা মিললে উপকৃত হবেন তিনি। কিন্তু দুর্ঘটনা পরবর্তী ট্রাস্টি বোর্ডের অনুকূলে আবেদন করার ৩০ দিন সময় পার হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অসহায় এ পরিবারটি।
আব্দুর রহিম অনিক বলেন, সরকার ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু এই বিয়ষে আগে তেমন প্রচার প্রচারণা চোখে পড়েনি। আমার মতো গরীব অসহায় মানুষেরা সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে আর্থিক সহায়তার খুব বেশি প্রয়োজন। কিন্তু দুর্ঘটনার পর তো সবাই রোগীকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে, একারণে আবেদন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়। যদি আবেদনের সময় বাড়ানোসহ ব্যাপক প্রচার প্রচারণার ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেয় তাহলে আমার মতো গরীব মানুষ সরকারের সহায়তা থেকে বঞ্চিত হবে না।
গঙ্গাচড়া উপজেলার কিসামত হাবু এলাকার বাসিন্দা রায়হান মিয়া (৩৪)। তিনি গত ২১ অক্টোবর সকালে মোটরসাইকেলযোগে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় কাউনিয়া উপজেলার হলদিবাড়ি রেলগেট এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিকার হন। এতে তার বাম হাতের দুটি আঙ্গুল ফ্রাকচার হয়েছে।
দুর্ঘটনার ১৪ দিন পর গত রংপুর বিআরটিএ কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তির আশায় ট্রাস্টি বোর্ডের অনুকূলে আবেদনপত্র জমা দিতে আসেন। এসময় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় রায়হান মিয়ার। তিনি বলেন, আমি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। একারণে সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে কিছুটা ধারণা রয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সরকার থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়, এ বিষয়টি জানা ছিল বলেই আমি আবেদনপত্র দাখিল করতে এসেছি।
দুই কোটি টাকার চেক বিতরণ
গত ২৫ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হলরুমে রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধা জেলার ক্ষতিগ্রস্ত ৪১ পরিবারকে দুই কোটি টাকার অনুদান প্রদান করা হয়। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা এবং আহতদের পরিবারকে ৩ লাখ টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)-এর চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ।
দুর্ঘটনায় স্বামী হারানো গোলাপী বেগম চেক গ্রহণকালে বলেন, আমার স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলাম। আজ সরকারের এই সহায়তা পেয়ে মনে হচ্ছে, কেউ আমাদের কথা ভুলে যায়নি।
যা বলছেন বিআরটিএ’র কর্মকর্তা
রংপুর বিআরটিএ কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ৫৪(১) উপধারা অনুসারে ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়। বিগত ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২ কার্যকর হওয়ার পর বিগত ১৯ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি. তারিখ হতে ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। তবে রংপুরে এই সহায়তা কার্যক্রম শুরু হয় ২০২৪ সালের অক্টোবরে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) রংপুর সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) মো. শফিকুল আলম সরকার প্রতিবেদককে বলেন, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ১২১ জন ব্যক্তি আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তির জন্য ট্রাস্টি বোর্ডের অনুকূলে আবেদন করেন। এর মধ্যে ৭৫টি আবেদন নিষ্পত্তি করে পর্যায়ক্রমে ৭৫ জনকে চেকের মাধ্যমে ৩ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। বাকি ৪৬ জনের মধ্যে ৩৮ জনের আবেদন সদর কার্যালয়ে অনুসন্ধানের জন্য প্রেরণ এবং অন্য আটজনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তির আবেদনগুলো মৃত্যু, অঙ্গহানি, গুরুতর আহত ও চিকিৎসা করে সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাথএই চার ক্যাটাগরিতে যাচাই-বাছাই করা হয়। সহায়তা প্রাপ্তির আবেদন দুর্ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাস্টি বোর্ডের অনুকূলে দাখিল করতে হয়। ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ যেন সরকারের এই উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে এবং সরকারি সহায়তা প্রাপ্তিতে আবেদন করতে পারে এজন্য বিভিন্ন সভা সেমিনার ও দিবসে এ সম্পর্কিত আলোচনা, লিফলেট বিতরণ করে থাকে বিআরটিএ।
দুর্ঘটনার তুলনায় আবেদন কম
এদিকে, হাইওয়ে পুলিশের রংপুর রিজিয়ন অফিস জানিয়েছে, গত এক বছরে রংপুর রিজিয়নের আওতাভুক্ত হাইওয়ে থানা এলাকায় ৪১৯টি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে। এসব ঘটনায় ২২৪ জনের মৃত্যু এবং অহত হয়েছেন অন্তত ৪৬৪ জন।
অন্যদিকে, রংপুর জেলা পুলিশ সুপার সেল সূত্রে জানা গেছে, জেলার আট থানাধীন এলাকায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত। এসব ঘটনায় শতাধিক মামলা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদনের সংখ্যা একেবারই কম। এর কারণ হিসেবে সচেতন মহল বলছেন, সড়ক পরিবহন আইনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করার বিষয়টি বেশির ভাগ মানুষই জানেন না।
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন রংপুর জেলা সভাপতি খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, সরকারের সহায়তা যাতে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পায়, সেজন্য আরো বেশি প্রচার-প্রচারণার প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে বাস ও ট্রাক টার্মিনালসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্টপে বিলবোর্ড স্থাপনের মাধ্যমে প্রচারণা করা যেতে পারে। দুর্ঘটনার পর আবেদনের যে সময়সীমা, সেটার ব্যাপারেও ক্ষতিগ্রস্তদের সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। যত বেশি প্রচার হবে, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ তত বেশি উপকৃত হবেন।
* আবেদনে যেসব বিষয় অনুসরণ করতে হবে :
(১) সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটনের অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে ফরম-৩২ এর মাধ্যমে দুর্ঘটনা সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ, জেলা সার্কেলে চেয়ারম্যান, ট্রাস্টি বোর্ড বরাবর আবেদন করতে হবে।
(২) দুর্ঘটনা সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ, জেলা সার্কেল চেয়ারম্যান, ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষে আবেদনসমূহ গ্রহণ করবেন এবং পরবর্তীতে উক্ত আবেদনসমূহ অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন চেয়ারম্যান, ট্রাস্টি বোর্ড বরাবর প্রেরণ করবেন।
(৩) আবেদনপত্রের সাথে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন, মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র, মৃত্যু সনদ, বৈধ ওয়ারিশ সনদ ইত্যাদিসহ ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক চাহিত সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে। এছাড়া, ট্রাস্টি বোর্ড সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে বিআরটিএ’র ওয়েবসাইট (www.brta.gov.bd) ট্রাস্টি বোর্ড টুলবার এ ভিজিট করতে পারবেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh
